০৪:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অতীতে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ স্থানে নির্মাণ হয়েছে

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫
  • 11

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, অতীতে অনেক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজগুলো করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এবং চটচটিয়া শিবনগর খেয়াঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ হয়নি এমন দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে যেগুলোর উপযোগিতা নেই, সেগুলো নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা জানান, এখন থেকে তিনতলা বিশিষ্ট দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সেগুলোর দ্বিতীয় তলায় নারী-শিশু এবং তিন তলায় থাকবে পুরুষরা।

তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য অর্থ খরচ করছে। দুর্যোগের সময় ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, আর অন্য সময় এগুলো জনস্বার্থে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। সংশ্লিষ্টদের ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফুর রহমান/কেএইচকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

অতীতে অনেক আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ স্থানে নির্মাণ হয়েছে

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম (বীর প্রতীক) বলেছেন, অতীতে অনেক ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নিচু ও বন্যাপ্রবণ স্থানে নির্মাণ করা হয়েছে। স্থানীয় জনগণের আপত্তি সত্ত্বেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে এই কাজগুলো করা হয়েছে।

শুক্রবার (১০ অক্টোবর) খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার শরাফপুর এবং চটচটিয়া শিবনগর খেয়াঘাট এলাকায় নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের তিনি এসব কথা বলেন।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সঠিকভাবে স্থান নির্ধারণ হয়নি এমন দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর মধ্যে যেগুলোর উপযোগিতা নেই, সেগুলো নিরীক্ষা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা জানান, এখন থেকে তিনতলা বিশিষ্ট দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সেগুলোর দ্বিতীয় তলায় নারী-শিশু এবং তিন তলায় থাকবে পুরুষরা।

তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য অর্থ খরচ করছে। দুর্যোগের সময় ভবনগুলো আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হবে, আর অন্য সময় এগুলো জনস্বার্থে ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। সংশ্লিষ্টদের ২০২৫ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নির্মাণাধীন আশ্রয়কেন্দ্রগুলোর কাজ শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শনকালে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান এবং খুলনার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরিফুর রহমান/কেএইচকে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।