১২:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সামরিক না আইসিটি আইনে?

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫
  • 9

গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনা সদর। তাদের বিচারের ক্ষেত্রে সেনা সদর জানিয়েছে, আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আইনে নাকি আইসিটি আইনে বিচার হবে এ বিষয়ে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান আছে কি না। এছাড়া অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ার আগে তাদের চাকরি থাকবে কি না এমন সব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো। দ্বিতীয় বিষয়টি— আইসিটি আইনে বলা আছে, অভিযোগ পত্রে নাম উঠলে তার চাকরি চলে যাবে। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে অভিযুক্ত সে কি আসলেও সাজাপ্রাপ্ত? সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ওই ব্যক্তির আপিলের সুযোগ থাকে, আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর যদি সাজা বহাল থাকে তখন তাকে আমরা সাজাপ্রাপ্ত বলতে পারব। আবার দেখা যাবে এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খালাস পেয়ে গেলেন। খালাস পেয়ে গেলে ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ী সে আবার সার্ভিসের (চাকরিতে) ফিরে যেতে পারবে।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এর ভেতর দিয়ে তার যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক…. দেখা গেল অনেকে মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে অসুস্থ হয়ে গেলেন বা কেউ হার্ট অ্যাটাক করে ফেললেন এগুলোর কি হবে। এগুলো বলা হচ্ছে মানবাধিকার।

সেনাবাহিনীতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিচার চলাকালীন সেনাবাহিনীর নিয়মে বয়স শেষ হয়ে গেলে সে অবসর চলে যাবেন। তখন সে খালাস হলেও তাকে আমরা চাকরিতে নিতে পারবো না। তাই ট্রাইব্যুনালের ওই আইনের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবো।

চার্জশিটে যেসব কর্মকর্তাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে সেনা আইনে কোনো কার্যক্রম চলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, গুম সংক্রান্ত আমাদের ন্যাশনাল একটা কমিশন আছে। এই কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। তাই সেনাবাহিনী আর কমিশন করেনি, আমরা কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি, এখনো করছি। বাংলাদেশ আর্মি জাস্টিসের প্রতি অটল। যেটা জাস্টিস হবে বাংলাদেশ আর্মি সেটার পক্ষে থাকবে। ‌

ট্রাইবুনাল একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছে অভিযুক্তদের হাজির করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে যেটা আইনগতভাবে হওয়ার কথা সেটা হবে।

কিন্তু সেই আইনগত প্রক্রিয়াটা কি হবে এবং ২২ তারিখে তাদের আদালতে হাজির করা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, আইনের বিষয়ে আমরা একটা ব্যাখ্যা চাইব, ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ২২ তারিখের বিষয়টা আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।

টিটি/এমআরএম

ট্যাগঃ

অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তাদের বিচার সামরিক না আইসিটি আইনে?

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫

গুম ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়ানোর অভিযোগে সেনাবাহিনীর যে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানিয়েছে সেনা সদর। তাদের বিচারের ক্ষেত্রে সেনা সদর জানিয়েছে, আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো।

শনিবার (১১ অক্টোবর) ঢাকা সেনানিবাসের মেসে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সামরিক সদস্যদের মামলাসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।

অভিযুক্তদের বিচার সামরিক আইনে নাকি আইসিটি আইনে বিচার হবে এ বিষয়ে কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান আছে কি না। এছাড়া অভিযুক্তরা সাজা পাওয়ার আগে তাদের চাকরি থাকবে কি না এমন সব প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইসিটি আইন বনাম সেনা আইন মুখোমুখি বিষয়টি না বলাই ভালো। দ্বিতীয় বিষয়টি— আইসিটি আইনে বলা আছে, অভিযোগ পত্রে নাম উঠলে তার চাকরি চলে যাবে। প্রথম বিষয়টি হচ্ছে অভিযুক্ত সে কি আসলেও সাজাপ্রাপ্ত? সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও ওই ব্যক্তির আপিলের সুযোগ থাকে, আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার পর যদি সাজা বহাল থাকে তখন তাকে আমরা সাজাপ্রাপ্ত বলতে পারব। আবার দেখা যাবে এই বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে একজন খালাস পেয়ে গেলেন। খালাস পেয়ে গেলে ট্রাইবুনালের আইন অনুযায়ী সে আবার সার্ভিসের (চাকরিতে) ফিরে যেতে পারবে।

কিন্তু এখন প্রশ্ন হল এর ভেতর দিয়ে তার যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক…. দেখা গেল অনেকে মানসিক চাপ সহ্য না করতে পেরে অসুস্থ হয়ে গেলেন বা কেউ হার্ট অ্যাটাক করে ফেললেন এগুলোর কি হবে। এগুলো বলা হচ্ছে মানবাধিকার।

সেনাবাহিনীতে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কোনো কর্মকর্তার বিচার চলাকালীন সেনাবাহিনীর নিয়মে বয়স শেষ হয়ে গেলে সে অবসর চলে যাবেন। তখন সে খালাস হলেও তাকে আমরা চাকরিতে নিতে পারবো না। তাই ট্রাইব্যুনালের ওই আইনের বিষয়ে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে এর ব্যাখ্যা চাইবো।

চার্জশিটে যেসব কর্মকর্তাদের নাম এসেছে তাদের বিরুদ্ধে সেনা আইনে কোনো কার্যক্রম চলছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, গুম সংক্রান্ত আমাদের ন্যাশনাল একটা কমিশন আছে। এই কমিশনকে আমরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছি। তাই সেনাবাহিনী আর কমিশন করেনি, আমরা কমিশনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে যাচ্ছি, এখনো করছি। বাংলাদেশ আর্মি জাস্টিসের প্রতি অটল। যেটা জাস্টিস হবে বাংলাদেশ আর্মি সেটার পক্ষে থাকবে। ‌

ট্রাইবুনাল একটি নির্দিষ্ট তারিখ দিয়েছে অভিযুক্তদের হাজির করার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখানে যেটা আইনগতভাবে হওয়ার কথা সেটা হবে।

কিন্তু সেই আইনগত প্রক্রিয়াটা কি হবে এবং ২২ তারিখে তাদের আদালতে হাজির করা যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান বলেন, আইনের বিষয়ে আমরা একটা ব্যাখ্যা চাইব, ব্যাখ্যা পাওয়ার পর ২২ তারিখের বিষয়টা আমরা আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেব।

টিটি/এমআরএম