০১:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘আমাদের নেত্রীকে হাসিনা হত্যা করেছে, আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম’

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 3

‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা জেল-জুলুম-নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এর বিচার আমার আল্লাহ একদিন করবেই। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবী দলের ঢাকা দক্ষিণের নেতা আব্দুল হক। বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুর খবর শুনে ভোরে এভারকেয়ারে এসেছেন তিনি।

আব্দুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক দূরদর্শিতাসম্পন্ন নেত্রী। এমন নেত্রী আর আসবে না। আমার নেত্রী বিশ্ব নেত্রী। সারা দুনিয়ায় এমন উদার, ভালো মনের রাজনৈতিক নেত্রী খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

মৎস্যজীবী দলের এ নেতা যখন কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে থাকা দলের আরেক নেত্রী সাবিনা আক্তার অঝোরে কাঁদছিলেন। সাবিনা বলেন, ‘জেলে আমার নেত্রীকে স্লো-পয়জনিং করা হয়েছে। তা না হলে হয়তো তিনি আরও অনেক দিন আমাদের মাঝে থাকতেন। আমরা এর তদন্ত চাই।’

রাজধানীর উত্তরার জোনাল মার্কেট এলাকা থেকে এভারকেয়ারে এসেছেন বৃদ্ধ আবু তৈয়্যব। তরুণ বয়সে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। কোনোদিন কোনো পদ-পদবি পাননি। তারপরও বিএনপিকে, জিয়াউর রহমানকে, খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। ফজরের নামাজের পর ছেলের থেকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনেই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন তিনি।

আবু তৈয়্যব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কাজ করেছে, উন্নয়ন করেছে লোক দেখানো। উড়াল রাস্তা নাকি কি বানাইছে। বড়লোকদের জন্য বানাইছে। কিন্তু আমার নেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন গরিব-দুখি মানুষের নেত্রী। তিনি সব শ্রেণির মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে গেছেন৷ আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এদিকে, ভোর থেকে এভারকেয়ারের সামনে আসছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে শোকাহত মানুষের ভিড় বাড়ছে। এজন্য হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের অনুরোধে দলীয় নেতাকর্মীরা মূল রাস্তা ছেড়ে দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

এএএইচ/এএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

বগুড়ার ৭ আসনে ৩৯ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা

‘আমাদের নেত্রীকে হাসিনা হত্যা করেছে, আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম’

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

‘আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে বিনা কারণে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা জেল-জুলুম-নির্যাতন করে হত্যা করেছে। এর বিচার আমার আল্লাহ একদিন করবেই। আমরা আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।’

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন জাতীয় মৎস্যজীবী দলের ঢাকা দক্ষিণের নেতা আব্দুল হক। বিএনপি চেয়ারপারসনের মৃত্যুর খবর শুনে ভোরে এভারকেয়ারে এসেছেন তিনি।

আব্দুল হক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক দূরদর্শিতাসম্পন্ন নেত্রী। এমন নেত্রী আর আসবে না। আমার নেত্রী বিশ্ব নেত্রী। সারা দুনিয়ায় এমন উদার, ভালো মনের রাজনৈতিক নেত্রী খুঁজে পাওয়া যাবে না।’

মৎস্যজীবী দলের এ নেতা যখন কথা বলছিলেন, তখন তার পাশে থাকা দলের আরেক নেত্রী সাবিনা আক্তার অঝোরে কাঁদছিলেন। সাবিনা বলেন, ‘জেলে আমার নেত্রীকে স্লো-পয়জনিং করা হয়েছে। তা না হলে হয়তো তিনি আরও অনেক দিন আমাদের মাঝে থাকতেন। আমরা এর তদন্ত চাই।’

রাজধানীর উত্তরার জোনাল মার্কেট এলাকা থেকে এভারকেয়ারে এসেছেন বৃদ্ধ আবু তৈয়্যব। তরুণ বয়সে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত হন। কোনোদিন কোনো পদ-পদবি পাননি। তারপরও বিএনপিকে, জিয়াউর রহমানকে, খালেদা জিয়াকে ভালোবাসেন। ফজরের নামাজের পর ছেলের থেকে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনেই হাসপাতালে ছুটে এসেছেন তিনি।

আবু তৈয়্যব বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কাজ করেছে, উন্নয়ন করেছে লোক দেখানো। উড়াল রাস্তা নাকি কি বানাইছে। বড়লোকদের জন্য বানাইছে। কিন্তু আমার নেত্রী খালেদা জিয়া ছিলেন গরিব-দুখি মানুষের নেত্রী। তিনি সব শ্রেণির মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে গেছেন৷ আল্লাহ তাকে জান্নাত নসিব করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এদিকে, ভোর থেকে এভারকেয়ারের সামনে আসছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এবং সাধারণ মানুষ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে শোকাহত মানুষের ভিড় বাড়ছে। এজন্য হাসপাতালের সামনে নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পুলিশের অনুরোধে দলীয় নেতাকর্মীরা মূল রাস্তা ছেড়ে দুই পাশে সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছেন।

এএএইচ/এএমএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।