০৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমি তো আর মরে যাইনি, একটা কল আশা করতেই পারি: সুজন

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 12

বাংলাদেশ এখন যারা কোচিং করান, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ সালাউদ্দীন (তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে আবুধাবিতে) ছাড়া সবাই রয়েছেন। মিজানুর রহমান বাবুল, সোহেল ইসলাম, রাজিন সালেহ, জাহাঙ্গীর আলম, হান্নান সরকার, তুষার ইমরান, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, নাসিরুদ্দীন ফারুক কে নাই? পুরোদস্তুর কোচিং করান আর বিপিএল বা অন্য কোনো আসরে স্পেশালিস্ট ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন, প্রায় সবাই আছেন ২ অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশলে রস আর ইয়ান রেনশো’র তিনদিনের ওয়ার্কশপে।

কিন্তু তিনদিনের এ ওয়ার্কশপে দেখা যায়নি একজনকে। তিনি খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজন কি অংশ নেননি এ কোচেস ওয়ার্কশপে? উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিললো বোম ফাটানো তথ্য। ‘আমাকে ওই ওয়ার্কশপে দেখবেন কি করে? আমাকে তো ডাকাই হয়নি। আমি কোন আমন্ত্রন পাইনি।’

সুজনের ক্ষোভমাখা ঝাঁঝালো বক্তব্য, ‘আমার দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে একটা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। দু’জন অস্ট্রেলিয়ান এক্সপার্ট এসেছেন। তাদের ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছে আমাদের দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত কোচ এবং বেশ ক’জন জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার। আমিওতো দেশের হয়ে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন খেলেছি। জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ক্যাপ্টেন ছিলাম। কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলাম অনেকদিন। এক কথায় ন্যাশনাল টিমের পার্ট ছিলাম বহুদিন। অথচ রাজধানী ঢাকায় এমন একটা ওয়ার্কশপ এর আয়োজন করা হলো, অথচ আমি কোনো আমন্ত্রণই পেলাম না। আমাকে কেউ কিছুই বললো না।’

‘দুঃখের কথা বলি। বাংলাদেশের আমি ফার্স্ট লেভেল থ্রি কোচ। ২০০৬ সালে লেভেল-থ্রি করেছি। অথচ আমাকে দাওয়াতই দেয় নাই কেউ। আমাকে জানায়ইনি। আমি হয়ত এখন ন্যাশনাল লেভেলে কাজ করি না। বাট পাইপ লাইন এন্ড আদার্স এরিয়ায় তো কাজ করি। একাডেমি লেভেলে আমি কোচিং করাই। আমি শিখলে, জানলেতো আর ক্ষতি হতো না। হয়ত লেভেল-থ্রি’র কোচিং মেথড আমার জানা। তবুও ইনভাইট করলে পারতো।’

আমার হাত থেকে অনেক প্লেয়ার বের হয়। আমি শিখলে, জানলে আমার হাতে গড়া ক্রিকেটাররাও জানতে পারতো। শিখতে পারতো। তাতে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হতো।

সুজনের অভিযোগের তীর বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দিকে। ‘বুলবুল ভাইতো আমাকে বলতে পারতেন। শুনেছি, জেনেছি তিনিই এটা অ্যারেঞ্জ করেছেন। সালাউদ্দীন ফ্রি থাকলে হয়ত করতো; কিন্তু কই বুলবুল ভাইতো আমাকে বলেননি ওই ওয়ার্কশপে যোগ দিতে!’- বলেন সুজন।

বুলবুলের প্রতি অভিযোগ এনে সুজন যোগ করেন, ‘বুলবুল ভাই আমার বয়সে বছর তিনেকের বড় হলেও আমরা একসাথে নাইনটিন খেলেছি। এক সাথে বেড়ে উঠেছি। বুলবুল ভাই বোর্ড প্রেসিডেন্ট, আর দেশে একটা ব্যাটিংয়ের উন্নত ওয়ার্কশপ হচ্ছে, আমি সেখানে ডাক পেতেই পারি। আমিতো আর মরে যাইনি। এখনো কোচিংই করাই। আমি বুলবুল ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কল আশা করতেই পারি। কিন্তু বুলবুল ভাই দেশে ফিরে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে আমাকে একটা কল, নক দেননি। উল্টো আমি বুলবুল ভাইকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। কল দিয়েছিলাম। কিন্তু নো রেপসন্স। তিনি এমন কথা বলেননি যে, সুজন আমি আসছি দেশে। ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছি। তুমি আইসো। কথা বলবো। শুধু একদিন মোহাম্মদ আলী বললো, বুলবুল তোরে দেখা করতে বলছে। ফোনটাতো বুলবুল ভাইই করতে পারেন!’

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

আমি তো আর মরে যাইনি, একটা কল আশা করতেই পারি: সুজন

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৬:০৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশ এখন যারা কোচিং করান, তাদের মধ্যে মোহাম্মদ সালাউদ্দীন (তিনি জাতীয় দলের সঙ্গে আবুধাবিতে) ছাড়া সবাই রয়েছেন। মিজানুর রহমান বাবুল, সোহেল ইসলাম, রাজিন সালেহ, জাহাঙ্গীর আলম, হান্নান সরকার, তুষার ইমরান, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফীস, নাসিরুদ্দীন ফারুক কে নাই? পুরোদস্তুর কোচিং করান আর বিপিএল বা অন্য কোনো আসরে স্পেশালিস্ট ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পালন করেন, প্রায় সবাই আছেন ২ অস্ট্রেলিয়ান অ্যাশলে রস আর ইয়ান রেনশো’র তিনদিনের ওয়ার্কশপে।

কিন্তু তিনদিনের এ ওয়ার্কশপে দেখা যায়নি একজনকে। তিনি খালেদ মাহমুদ সুজন। সুজন কি অংশ নেননি এ কোচেস ওয়ার্কশপে? উত্তর খুঁজতে গিয়ে মিললো বোম ফাটানো তথ্য। ‘আমাকে ওই ওয়ার্কশপে দেখবেন কি করে? আমাকে তো ডাকাই হয়নি। আমি কোন আমন্ত্রন পাইনি।’

সুজনের ক্ষোভমাখা ঝাঁঝালো বক্তব্য, ‘আমার দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে একটা কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। দু’জন অস্ট্রেলিয়ান এক্সপার্ট এসেছেন। তাদের ওয়ার্কশপে অংশ নিয়েছে আমাদের দেশের প্রায় সব প্রতিষ্ঠিত কোচ এবং বেশ ক’জন জাতীয় দলের সাবেক ব্যাটার। আমিওতো দেশের হয়ে কাজ করেছি। দীর্ঘদিন খেলেছি। জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছি। ক্যাপ্টেন ছিলাম। কোচিং স্টাফের সদস্য ছিলাম অনেকদিন। এক কথায় ন্যাশনাল টিমের পার্ট ছিলাম বহুদিন। অথচ রাজধানী ঢাকায় এমন একটা ওয়ার্কশপ এর আয়োজন করা হলো, অথচ আমি কোনো আমন্ত্রণই পেলাম না। আমাকে কেউ কিছুই বললো না।’

‘দুঃখের কথা বলি। বাংলাদেশের আমি ফার্স্ট লেভেল থ্রি কোচ। ২০০৬ সালে লেভেল-থ্রি করেছি। অথচ আমাকে দাওয়াতই দেয় নাই কেউ। আমাকে জানায়ইনি। আমি হয়ত এখন ন্যাশনাল লেভেলে কাজ করি না। বাট পাইপ লাইন এন্ড আদার্স এরিয়ায় তো কাজ করি। একাডেমি লেভেলে আমি কোচিং করাই। আমি শিখলে, জানলেতো আর ক্ষতি হতো না। হয়ত লেভেল-থ্রি’র কোচিং মেথড আমার জানা। তবুও ইনভাইট করলে পারতো।’

আমার হাত থেকে অনেক প্লেয়ার বের হয়। আমি শিখলে, জানলে আমার হাতে গড়া ক্রিকেটাররাও জানতে পারতো। শিখতে পারতো। তাতে দেশের ক্রিকেট উপকৃত হতো।

সুজনের অভিযোগের তীর বিসিবি প্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দিকে। ‘বুলবুল ভাইতো আমাকে বলতে পারতেন। শুনেছি, জেনেছি তিনিই এটা অ্যারেঞ্জ করেছেন। সালাউদ্দীন ফ্রি থাকলে হয়ত করতো; কিন্তু কই বুলবুল ভাইতো আমাকে বলেননি ওই ওয়ার্কশপে যোগ দিতে!’- বলেন সুজন।

বুলবুলের প্রতি অভিযোগ এনে সুজন যোগ করেন, ‘বুলবুল ভাই আমার বয়সে বছর তিনেকের বড় হলেও আমরা একসাথে নাইনটিন খেলেছি। এক সাথে বেড়ে উঠেছি। বুলবুল ভাই বোর্ড প্রেসিডেন্ট, আর দেশে একটা ব্যাটিংয়ের উন্নত ওয়ার্কশপ হচ্ছে, আমি সেখানে ডাক পেতেই পারি। আমিতো আর মরে যাইনি। এখনো কোচিংই করাই। আমি বুলবুল ভাইয়ের কাছ থেকে একটা কল আশা করতেই পারি। কিন্তু বুলবুল ভাই দেশে ফিরে বিসিবি প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে আমাকে একটা কল, নক দেননি। উল্টো আমি বুলবুল ভাইকে একটা মেসেজ পাঠিয়েছিলাম। কল দিয়েছিলাম। কিন্তু নো রেপসন্স। তিনি এমন কথা বলেননি যে, সুজন আমি আসছি দেশে। ক্রিকেট বোর্ডের দায়িত্ব নিয়েছি। তুমি আইসো। কথা বলবো। শুধু একদিন মোহাম্মদ আলী বললো, বুলবুল তোরে দেখা করতে বলছে। ফোনটাতো বুলবুল ভাইই করতে পারেন!’

এআরবি/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।