০১:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক মাসে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫
  • 10

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকারি তথ্য বলছে, এ সময়ে আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে রপ্তানি কমেছে, ফলে দেশটির নাজুক বৈদেশিক খাত ও রুপির স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২.২৯ বিলিয়ন ডলার। এ বছর সেপ্টেম্বরে আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮৫ বিলিয়ন ডলারে (১৪ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং রপ্তানি কমে হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার (১১.৭ শতাংশ হ্রাস)।

ত্রৈমাসিক হিসেবে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৯ শতাংশ বেশি। এই সময়ে আমদানি বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ হয়ে ১৬.৯৭ বিলিয়ন ডলারে এবং রপ্তানি কমেছে ৩.৮ শতাংশ হয়ে ৭.৬ বিলিয়ন ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এ পরিস্থিতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করবে, রুপির অস্থিরতা বাড়াবে এবং ঋণ পরিশোধকে জটিল করে তুলবে।

স্বাধীন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাকিস্তানের রপ্তানি কাঠামো অত্যন্ত সীমিত, যা মূলত কৃষি ও টেক্সটাইল খাতের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ৩০–৩১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে এ দুটি খাতই প্রধান অংশীদার।

সাবেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. খাকান নাজীববলেছেন, এই সংকীর্ণ রপ্তানি কাঠামো পাকিস্তানকে বৈশ্বিক বাজারের ওঠানামার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। প্রতিযোগিতা বাড়ানো, উচ্চমূল্যের নতুন রপ্তানি খাত তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানো এখন জরুরি।

সূত্র: জিও নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

এক মাসে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলার

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৪৬ শতাংশ বেড়ে ৩.৩৪ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। সরকারি তথ্য বলছে, এ সময়ে আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। তবে রপ্তানি কমেছে, ফলে দেশটির নাজুক বৈদেশিক খাত ও রুপির স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

পাকিস্তান ব্যুরো অব স্ট্যাটিস্টিকসের (পিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ে ঘাটতি ছিল ২.২৯ বিলিয়ন ডলার। এ বছর সেপ্টেম্বরে আমদানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫.৮৫ বিলিয়ন ডলারে (১৪ শতাংশ বৃদ্ধি) এবং রপ্তানি কমে হয়েছে ২.৫ বিলিয়ন ডলার (১১.৭ শতাংশ হ্রাস)।

ত্রৈমাসিক হিসেবে (জুলাই–সেপ্টেম্বর ২০২৫) ঘাটতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৩৭ বিলিয়ন ডলারে, যা গত বছরের তুলনায় ৩২.৯ শতাংশ বেশি। এই সময়ে আমদানি বেড়েছে ১৩.৫ শতাংশ হয়ে ১৬.৯৭ বিলিয়ন ডলারে এবং রপ্তানি কমেছে ৩.৮ শতাংশ হয়ে ৭.৬ বিলিয়ন ডলারে।

অর্থনীতিবিদরা সতর্ক করে বলেছেন, এ পরিস্থিতি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ সৃষ্টি করবে, রুপির অস্থিরতা বাড়াবে এবং ঋণ পরিশোধকে জটিল করে তুলবে।

স্বাধীন অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পাকিস্তানের রপ্তানি কাঠামো অত্যন্ত সীমিত, যা মূলত কৃষি ও টেক্সটাইল খাতের ওপর নির্ভরশীল। বছরে ৩০–৩১ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানির মধ্যে এ দুটি খাতই প্রধান অংশীদার।

সাবেক অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. খাকান নাজীববলেছেন, এই সংকীর্ণ রপ্তানি কাঠামো পাকিস্তানকে বৈশ্বিক বাজারের ওঠানামার ঝুঁকির মধ্যে ফেলে। প্রতিযোগিতা বাড়ানো, উচ্চমূল্যের নতুন রপ্তানি খাত তৈরি করা এবং অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমানো এখন জরুরি।

সূত্র: জিও নিউজ

এমএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।