বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিগত ১৭ বছর দেশে বহু আন্দোলোন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে, বহু নির্যাতন হয়েছে, বহু মানুষ শহীদ হয়েছে অনেক কিছু হয়েছে। এনাফ, আসুন আমরা একটা জায়গায় আসি। সব মতভেদ ভেদাভেদ কমিয়ে নিয়ে আসি। আমরা কথা বলি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপি নেতা মোতালেব আকনের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে ও ইচ্ছাপূরণ করতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্ত্যেবে এসব কথা বলেন।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, এখানে আমরা অনেকেই উপস্থিত আছি। আজকে আমরা মোতালেব সাহেবকে দেখতে পাই উনি একটি হুইলচেয়ারে বসে আছে। আজকের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কম-বেশি আমরা সবাই জেনেছি মোতালেব সাহেব কীভাবে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত হয়েছেন। প্রিয় সহকর্মীরা, আমি বহু বছর প্রবাসে আছি। থাকতে বাধ্য হয়েছি বিভিন্ন কারণে।
তিনি বলেন, দেখুন বিগত ১৭ বছর দেশে বহু আন্দোলোন হয়েছে, সংগ্রাম হয়েছে, বহু নির্যাতন হয়েছে, বহু মানুষ শহীদ হয়েছে অনেক কিছু হয়েছে। এনাফ, আসুন আমরা একটা জায়গায় আসি। সব মতভেদ ভেদাভেদ কমিয়ে নিয়ে আসি। আমরা কথা বলি। দেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আছে। তাদের বিভিন্ন আদর্শ থাকতে পারে, থাকাই স্বাভাবিক। আমরা বহুদলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, বিভিন্ন মত থাকবেই। সব গণতান্ত্রিক দেশে এটা আছে। কিন্তু আসুন আমরা সেই ঝগরা-ফ্যাসাদ থেকে কিছুটা দূরে সরে আসি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজকে মোতালেব সাহেব তার সন্তানদের দেখিয়ে বলেছেন যে কথাটি, এমন সন্তানের সংখ্যা সারা বাংলাদেশে আরো লাখ-কোটি আছে। আমরা বলেছি আমরা চাই আগামী দিনে মেধার ভিত্তিতে এই জাতি ও দেশকে গড়ে তুলতে। মেধা যেখানে থাকবে সেখানে প্রতিযোগিতা থাকবে। আজকের তরুণ আগামী দিনের ভবিষৎ। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। মেধা এক একজনের একেক রকম হয়। সবাইকে আমরা যেমন এক জায়গা দিতে পারবো না। যে যেখানে এগিয়ে থাকবে তাকে সেই জায়গা দিতে হবে। কিন্তু যারা যেতে পারবে না তাদেরকেও আমরা ব্যবস্থা করে দেবো।
আরও পড়ুন
‘দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন’ প্রশ্নের ব্যাখ্যায় যা বললেন তারেক রহমান
সবচেয়ে বড় বিচারক জনগণ, আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে তারেক রহমান
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আগামী দিনে বাংলাদেশের লাখ-কোটি তরুণ, নারী-পুরুষ যারা আছে প্রত্যেকেই বেঁচে থাকার লড়াইয়ে যেন টিকে থাকতে পারে আমরা সেভাবে পরিকল্পনা করছি। যেমন, মোতালেব সাহেবের সন্তানেরা এখনো কোনো ব্যবস্থা করতে পারেনি। কিন্তু ভবিষতে যেন এই সন্তানেরা কোনো না কোনো ভাবে নিজেরা সৎ পথে উপার্জনের ব্যবস্থা করে নিতে পারে আমরা আমাদের পরিকল্পনাগুলো সেভাবে সাজাতে চাইছি। এদেশের মানুষ যতবারই স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে ততবার বিএনপিকে রায় দিয়েছে। এই বাংলাদেশের মানুষই হচ্ছে বিএনপির আস্থার প্রতীক।
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আমি যেমন আমার দলের পরিকল্পনা তৈরি করেছি- কীভাবে আগামী দিনে তরুণ প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবো। একটু আগে রিজভী ভাই যেটা বললেন, লাখ লাখ মানুষ এদেশের হাসপাতালের মেঝেতে শুয়ে থাকে। আগামী দিনে যেন এটিকে ধীরে ধীরে পরিবর্তন করা যায়। মানুষের কাছে যেন মিনিমাম হলেও একটু ভালো চিকিৎসা পৌঁছে দেওয়া যায় সেই পরিকল্পনা করছি। কৃষিনির্ভর এই দেশে লাখ-কোটি কৃষক বিভিন্ন সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন সমস্যার ভেতর দিয়ে যান। তারপরও তারা হাল ছেড়ে দেন না। তারা মাঠে কৃষিকাজ করছেন বলেই বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষ খেয়ে-পরে বেঁচে আছে। এই কৃষকদের পাশে কীভাবে দাঁড়াতে হয়, বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জের মা-বোনদের কীভাবে আর একটু স্বাবলম্বী করা যায়, তাদেরকে কীভাবে আর একটু অর্থনৈতিক ভালো শিক্ষার আলোকে গড়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ‘আমরা বিএনপির পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম খান, যুগ্ম আহ্বায়ক এলিজা জামান, সদস্য সচিব সাইদুল ইসলাম কিসমত, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের পরিচালক হাফিজ আল আসাদ প্রমুখ।
মোঃ তরিকুল ইসলাম/এএমএ
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













