০১:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এবার কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫
  • 6

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান, যা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো জাপানি নেতা করেননি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) টোকিওতে উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত জাপানি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তাকাইচি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমরা একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চাই।

আরও পড়ুন>>
কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চান ট্রাম্প, সাড়া নেই উত্তর কোরিয়ার
জাপানের নারী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

তাকাইচি বলেন, আমি চাই দুই দেশের নেতা সরাসরি মুখোমুখি হয়ে বাস্তবসম্মত ফলাফল অর্জন করুন। আমার মেয়াদকালেই আমি অপহরণ ইস্যুটির সমাধান ঘটাতে বদ্ধপরিকর।

জাপানের দাবি, ১৯৭০ ও ১৯৮০–এর দশকে অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। ২০০২ সালে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ফেরত পাঠানো হয়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অপহরণ মূলত উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল।

পিয়ংইয়ং অবশ্য অভিযোগের সংখ্যা অস্বীকার করে বলেছে, যাদের অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কেউ দুর্ঘটনায়, কেউ আত্মহত্যায় মারা গেছেন। দেশটি মনে করে, বিষয়টি এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে।

তবে নিখোঁজদের পরিবারের কাছে এখনো কোনো সান্ত্বনা বা সমাধান আসেনি। অনেক পরিবার দশকের পর দশক ধরে তাদের প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।

তাকাইচি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ইস্যুর সমাধানকে তিনি নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অসমাপ্ত মিশন হিসেবে দেখেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং সফর করেছিলেন। সেখানে তিনি কিম জং উনের বাবা ও উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর।

সে সময় কিম জং ইল স্বীকার করেন, জাপানি নাগরিকদের অপহরণ করা হয়েছিল এবং এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এরপর পাঁচজন অপহৃত নাগরিককে জাপানে ফেরত পাঠানো হয়।

২০০৪ সালে কোইজুমি আবার পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং ওই সময় আরও কিছু পরিবারের সদস্যদের ফেরত আসার সুযোগ হয়। তবে তারপর থেকে আর কোনো নাগরিক ফেরেনি এবং দুই দেশের আলোচনাও অগ্রগতি পায়নি।

শিনজো আবে ও পরবর্তীতে ফুমিও কিশিদা উভয়েই কিম জং উনের সঙ্গে শর্তহীন বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এখন তাকাইচি সেই দীর্ঘস্থায়ী জটিল ইস্যুর মুখোমুখি, যা তার আগের নেতারা সমাধান করতে পারেননি।

সূত্র: সিএনএন
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

শত কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগে ২ ব্যক্তি আটক

এবার কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময়ঃ ১২:০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ নভেম্বর ২০২৫

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পর এবার কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চাইলেন জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। তিনি জানিয়েছেন, তিনি উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে বৈঠক করতে চান, যা দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে কোনো জাপানি নেতা করেননি।

সোমবার (৩ নভেম্বর) টোকিওতে উত্তর কোরিয়ায় অপহৃত জাপানি নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন দাবিতে আয়োজিত এক সমাবেশে তাকাইচি বলেন, আমরা এরই মধ্যে উত্তর কোরিয়াকে জানিয়ে দিয়েছি যে আমরা একটি শীর্ষ বৈঠক আয়োজন করতে চাই।

আরও পড়ুন>>
কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করতে চান ট্রাম্প, সাড়া নেই উত্তর কোরিয়ার
জাপানের নারী প্রধানমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভাসালেন ট্রাম্প
ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেলের জন্য মনোনয়ন দেবেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী

তাকাইচি বলেন, আমি চাই দুই দেশের নেতা সরাসরি মুখোমুখি হয়ে বাস্তবসম্মত ফলাফল অর্জন করুন। আমার মেয়াদকালেই আমি অপহরণ ইস্যুটির সমাধান ঘটাতে বদ্ধপরিকর।

জাপানের দাবি, ১৯৭০ ও ১৯৮০–এর দশকে অন্তত ১৭ জন জাপানি নাগরিককে উত্তর কোরিয়ার এজেন্টরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। ২০০২ সালে তাদের মধ্যে পাঁচজনকে ফেরত পাঠানো হয়। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব অপহরণ মূলত উত্তর কোরিয়ার গুপ্তচরবৃত্তি কর্মকাণ্ডের অংশ ছিল।

পিয়ংইয়ং অবশ্য অভিযোগের সংখ্যা অস্বীকার করে বলেছে, যাদের অপহরণের কথা বলা হচ্ছে, তাদের কেউ দুর্ঘটনায়, কেউ আত্মহত্যায় মারা গেছেন। দেশটি মনে করে, বিষয়টি এরই মধ্যে সমাধান হয়েছে।

তবে নিখোঁজদের পরিবারের কাছে এখনো কোনো সান্ত্বনা বা সমাধান আসেনি। অনেক পরিবার দশকের পর দশক ধরে তাদের প্রিয়জনদের ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন।

তাকাইচি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গে দুইবার সাক্ষাৎ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই ইস্যুর সমাধানকে তিনি নিজের রাজনৈতিক গুরু প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের অসমাপ্ত মিশন হিসেবে দেখেন।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইজুমি উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং সফর করেছিলেন। সেখানে তিনি কিম জং উনের বাবা ও উত্তর কোরিয়ার তৎকালীন নেতা কিম জং ইলের সঙ্গে বৈঠক করেন । সেটিই ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর কোনো জাপানি প্রধানমন্ত্রীর প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর।

সে সময় কিম জং ইল স্বীকার করেন, জাপানি নাগরিকদের অপহরণ করা হয়েছিল এবং এ ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান। এরপর পাঁচজন অপহৃত নাগরিককে জাপানে ফেরত পাঠানো হয়।

২০০৪ সালে কোইজুমি আবার পিয়ংইয়ং সফর করেন এবং ওই সময় আরও কিছু পরিবারের সদস্যদের ফেরত আসার সুযোগ হয়। তবে তারপর থেকে আর কোনো নাগরিক ফেরেনি এবং দুই দেশের আলোচনাও অগ্রগতি পায়নি।

শিনজো আবে ও পরবর্তীতে ফুমিও কিশিদা উভয়েই কিম জং উনের সঙ্গে শর্তহীন বৈঠকের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন, কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। এখন তাকাইচি সেই দীর্ঘস্থায়ী জটিল ইস্যুর মুখোমুখি, যা তার আগের নেতারা সমাধান করতে পারেননি।

সূত্র: সিএনএন
কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।