ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজিকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হলেও, মাত্র ২০ দিনের মাথায় তার জামিনে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তার আইনজীবীদের করা আপিলের ভিত্তিতে বিচারকের অধীনে সোমবার (১০ নভেম্বর) প্যারিসের একটি আদালতে তার জামিন শুনানি হবে। ধারণা করা হচ্ছে, শর্ত সাপেক্ষে তাকে জামিনে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২০০৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের প্রচারের জন্য সারকোজি তৎকালীন লিবিয়ান শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে কয়েক মিলিয়ন ইউরো অবৈধভাবে গ্রহণ করেছিলেন। যার বিনিময়ে তিনি পশ্চিমা বিশ্বে গাদ্দাফির ভাবমূর্তি পুনর্গঠনে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন। এ অভিযোগের ভিত্তিতে হওয়া মামলায় সেপ্টেম্বর মাসে তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আদালতের আদেশ মেনে ২১ অক্টোবর তিনি কারাবাসের উদ্দেশে কারাগারে যান।
তখন ওই আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল, সারকোজিকে ব্যক্তিগতভাবে অর্থ গ্রহণ বা ব্যবহারের দায়ে দোষী করা হয়নি। তবে তিনি তার ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে মিলে তহবিল সংগ্রহের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন।
তবে ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট থাকা সারকোজি বরাবরই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন এবং এটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন।
কারাগারে যাওয়ার পথে গাড়িতে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স -এ এক আবেগঘন বার্তা দিয়েছিলেন সারকোজি। ওই বার্তায় তিনি বলেছিলেন, আজ সকালে কারাগারে যাচ্ছেন কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট নন—একজন নির্দোষ মানুষ। এই মামলার পেছনে প্রতিশোধ ও ঘৃণার রাজনীতি কাজ করছে।
সূত্র : এপি
কেএম
এডমিন 












