০৪:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫
  • 22

ব্যবসায়ী হতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। ছিলেন মাইটিভির ব্যবস্থাপনা পর্ষদেও। কিন্তু তার টিভি চ্যানেলের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব যে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে তা দেশে যারা প্রথম প্রমাণ করেছেন, তৌহিদ তাদের অন্যতম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হচ্ছে, এই অনলাইন সেলিব্রিটি এখন হত্যা মামলার আসামি!

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে নিজের ভূমিকার কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, এ অভ্যুত্থানের সরাসরি বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে, পুলিশের সঙ্গী হয়ে সরকারের পক্ষে ও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে পোস্ট দিতে বাধ্য করেছেন অনেক অনলাইন সেলিব্রিটিকে। সরকার পতনের পর হত্যা মামলা হয় তৌহিদ ও তার বাবা মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথির নামে। যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গত ১৭ আগস্ট গ্রেফতার হন তিনি। গতরাতে একই মামলায় গ্রেফতার হন ছেলে আফ্রিদি।

তৌহিদ আফ্রিদি। ফেসবুক থেকে

প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেত আফ্রিদির। অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে ছিল তার সখ্য। এক বার বার ‘বন্ধুত্ব’ বলে এড়িয়ে যেতেন তিনি। জানা যায়, অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গেও প্রেম ছিল আফ্রিদির। পরে রিসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। গত রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের সময় আফ্রিদি বলছেন, তার স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। গত বছরের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন তিনি। বিবাহিত জীবনের এক বছর না পেরোতেই বিপর্যয় নেমে এলো এই তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জীবনে।

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়আফ্রিদি মায়ের সঙ্গে

২০১৫ সাল থেকে ভ্লগিং শুরু করেন তৌহিদ আফ্রিদি। তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলের অনুসারী সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে অবমুক্ত হয়েছে ২ শতাধিক ভিডিও। ভ্লগ বানানো প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘যখন শুরু করি, তখন আমি কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু এখন অনেক সাবধানে ভিডিও বানাই। মাথায় রাখি অশ্রাব্য শব্দ বা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না, এ রকম কিছু যাতে ভিডিওতে না থাকে। কারণ, আমার মা-বাবা এসব ভিডিও দেখেন। লাখ লাখ মা-বাবা আমার ভিডিও দেখেন।’

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়বাবার সঙ্গে আফ্রিদি

ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। পড়তে যেতে চেয়েছিলেন নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে। চেয়েছিলেন মা-বাবা যেন তাকে নিয়ে গর্ব করে। অথচ ক্ষমতা ও যোগাযোগের দুষ্টুচক্র, লোভ তাকে খাদের শেষপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫

ব্যবসায়ী হতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। ছিলেন মাইটিভির ব্যবস্থাপনা পর্ষদেও। কিন্তু তার টিভি চ্যানেলের চেয়েও বেশি জনপ্রিয় তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেল। ইউটিউব যে একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হতে পারে তা দেশে যারা প্রথম প্রমাণ করেছেন, তৌহিদ তাদের অন্যতম। ভাগ্যের নির্মম পরিহাস হচ্ছে, এই অনলাইন সেলিব্রিটি এখন হত্যা মামলার আসামি!

২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে নিজের ভূমিকার কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছিলেন তিনি। পরে জানা যায়, এ অভ্যুত্থানের সরাসরি বিরোধী ভূমিকায় ছিলেন তিনি। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষে, পুলিশের সঙ্গী হয়ে সরকারের পক্ষে ও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে পোস্ট দিতে বাধ্য করেছেন অনেক অনলাইন সেলিব্রিটিকে। সরকার পতনের পর হত্যা মামলা হয় তৌহিদ ও তার বাবা মাই টিভির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন সাথির নামে। যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গত ১৭ আগস্ট গ্রেফতার হন তিনি। গতরাতে একই মামলায় গ্রেফতার হন ছেলে আফ্রিদি।

তৌহিদ আফ্রিদি। ফেসবুক থেকে

প্রেমের গুঞ্জন শোনা যেত আফ্রিদির। অভিনেত্রী দিঘীর সঙ্গে ছিল তার সখ্য। এক বার বার ‘বন্ধুত্ব’ বলে এড়িয়ে যেতেন তিনি। জানা যায়, অভিনেত্রী কেয়া পায়েলের সঙ্গেও প্রেম ছিল আফ্রিদির। পরে রিসা নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন তিনি। গত রাতে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, আটকের সময় আফ্রিদি বলছেন, তার স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। গত বছরের নভেম্বর মাসে বিয়ে করেন তিনি। বিবাহিত জীবনের এক বছর না পেরোতেই বিপর্যয় নেমে এলো এই তরুণ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের জীবনে।

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়আফ্রিদি মায়ের সঙ্গে

২০১৫ সাল থেকে ভ্লগিং শুরু করেন তৌহিদ আফ্রিদি। তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলের অনুসারী সংখ্যা ৬৩ লাখের বেশি। এখন পর্যন্ত সেখানে অবমুক্ত হয়েছে ২ শতাধিক ভিডিও। ভ্লগ বানানো প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে আফ্রিদি বলেছিলেন, ‘যখন শুরু করি, তখন আমি কিছুই বুঝতাম না। কিন্তু এখন অনেক সাবধানে ভিডিও বানাই। মাথায় রাখি অশ্রাব্য শব্দ বা আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে যায় না, এ রকম কিছু যাতে ভিডিওতে না থাকে। কারণ, আমার মা-বাবা এসব ভিডিও দেখেন। লাখ লাখ মা-বাবা আমার ভিডিও দেখেন।’

কীসের লোভে তরুণ তারকার এ বিপর্যয়বাবার সঙ্গে আফ্রিদি

ব্যবসায়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চেয়েছিলেন আফ্রিদি। পড়তে যেতে চেয়েছিলেন নিউইয়র্ক ফিল্ম একাডেমিতে। চেয়েছিলেন মা-বাবা যেন তাকে নিয়ে গর্ব করে। অথচ ক্ষমতা ও যোগাযোগের দুষ্টুচক্র, লোভ তাকে খাদের শেষপ্রান্তে নিয়ে গেছে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।