গাজায় অনাহারে প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ এবং শিশুরা। অবরুদ্ধ এই উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ছয়জন তীব্র অপুষ্টি এবং অনাহারের কারণে মারা গেছে। এর মধ্যে দুজন শিশুও রয়েছে। খবর আল জাজিরার।
গাজায় দীর্ঘদিন ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর অবরোধের কারণে তীব্র খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। দীর্ঘ সময় খাবার না পেয়ে শিশুদের মৃত্যু হচ্ছে।
অপরদিকে মিশর থেকে গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক। স্থানীয় সময় রোববার গাজায় ত্রাণ প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এর আগে গাজা উপত্যকায় ত্রাণ সরবরাহের অংশ হিসেবে আকাশপথে খাদ্য ও ওষুধ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। পাশাপাশি, অঞ্চলটিতে নির্দিষ্ট মানবিক করিডোর খোলা হবে বলেও জানিয়েছে তারা। গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতি গভীরতর হওয়ায় বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে এমন পদক্ষেপ নিয়েছে তেলআবিব।
গত ২ মার্চ যুদ্ধবিরতি আলোচনার ভেঙে পড়ার পর ইসরায়েল গাজায় পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। তবে মে মাসের শেষদিকে সীমিত আকারে ত্রাণ প্রবেশের অনুমতি দেয়। সর্বশেষ শনিবার (২৬ জুলাই) সাতটি ত্রাণ প্যাকেজ পাঠানোর ঘোষণা দেয় ইসরায়েল। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত জানিয়েছিল, তারা ত্রাণ সরবরাহ আবার শুরু করবে। যুক্তরাজ্যও জর্ডানসহ বিভিন্ন অংশীদারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে।
এএফপিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, রোববার মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ শুরু করেছে। এদিকে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। মানবিক সহায়তা সহজতর করতেই এই ‘কৌশলগত বিরতি’ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
টিটিএন