১২:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত’

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
  • 9

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের সঙ্গে জড়িত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির প্রসিকিউশনে সেটি জমা দেবে তদন্ত সংস্থা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী ও ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেমসহ (আরমান) বেশ কয়েকজনকে গুমের ঘটনায় করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, এ তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করে শিগগির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।

তবে, এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন:
প্রধান কয়েকটি গুমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এই সপ্তাহে দাখিল হবে
জুলাই গণহত্যাকারীদের দায়মুক্তি পাওয়ার দুরাশা করে লাভ নেই
শেখ হাসিনার মামলাসহ ৬টির রায় হতে পারে চলতি বছরেই

এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের সামনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের সময়কার আলোচিত গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ পার পেয়ে যাবেন, কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে, কেউ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করবেন, এ ধরনের আশা করে লাভ নেই। ন্যায়বিচার সব সময় তার নিজ গতিতে চলবে।

আওয়ামী লীগ আমলে গুম হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে সরাসরি হাজির হয়ে অভিযোগ জমা দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আরমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আযমী, মাইকেল চাকমা প্রমুখ।

এসব অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই ও তদন্তের কাজ করে তদন্ত সংস্থা। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের বাইরেও বিভিন্ন আদালত ও থানায় গুমের একাধিক অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগীরা।

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত’গত মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী, লেখক এবং মানবাধিকারকর্মী মেরি কেরি কেনেডি ‘আয়নাঘর’ পরির্দশনে যান, এসময় যন্ত্রণাময় দিনগুলোর বর্ণনা দেন মীর আহমাদ বিন কাশেম, ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

গতবছর দীর্ঘ আট বছর গুম থাকার বর্ণনা দেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনলাইন জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি গুমের অভিযোগ করেন।

২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট নিখোঁজ হন আযমী।

আট বছর গুম থেকে মুক্ত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান গুম হওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।

দীর্ঘ আট বছর পর গত বছরের ৬ আগস্ট আযমী ও আরমান গুম অবস্থা থেকে মুক্ত হন।

এফএইচ/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত’

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুমের সঙ্গে জড়িত উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির প্রসিকিউশনে সেটি জমা দেবে তদন্ত সংস্থা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আল আযমী ও ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাসেমসহ (আরমান) বেশ কয়েকজনকে গুমের ঘটনায় করা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পৃথক তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) প্রসিকিউশন সূত্র জানায়, এ তদন্ত প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করে শিগগির আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।

তবে, এ বিষয়ে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি কথা বলতে রাজি হননি।

আরও পড়ুন:
প্রধান কয়েকটি গুমের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন এই সপ্তাহে দাখিল হবে
জুলাই গণহত্যাকারীদের দায়মুক্তি পাওয়ার দুরাশা করে লাভ নেই
শেখ হাসিনার মামলাসহ ৬টির রায় হতে পারে চলতি বছরেই

এর আগে সোমবার (৬ অক্টোবর) ট্রাইব্যুনালের সামনে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, পতিত আওয়ামী সরকারের সময়কার আলোচিত গুমের কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করা হবে।

তিনি আরও বলেন, কেউ পার পেয়ে যাবেন, কাউকে দায়মুক্তি দেওয়া হবে, কেউ পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করবেন, এ ধরনের আশা করে লাভ নেই। ন্যায়বিচার সব সময় তার নিজ গতিতে চলবে।

আওয়ামী লীগ আমলে গুম হওয়া বিভিন্ন ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগে সরাসরি হাজির হয়ে অভিযোগ জমা দেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, ব্যারিস্টার আরমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আযমী, মাইকেল চাকমা প্রমুখ।

এসব অভিযোগের প্রাথমিক যাচাই-বাছাই ও তদন্তের কাজ করে তদন্ত সংস্থা। এ ছাড়া ট্রাইব্যুনালের বাইরেও বিভিন্ন আদালত ও থানায় গুমের একাধিক অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগীরা।

‘গুমের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত’গত মে মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবী, লেখক এবং মানবাধিকারকর্মী মেরি কেরি কেনেডি ‘আয়নাঘর’ পরির্দশনে যান, এসময় যন্ত্রণাময় দিনগুলোর বর্ণনা দেন মীর আহমাদ বিন কাশেম, ছবি: ফেসবুক থেকে সংগৃহীত

গতবছর দীর্ঘ আট বছর গুম থাকার বর্ণনা দেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির প্রয়াত গোলাম আযমের ছেলে সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আযমী। গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে অনলাইন জুমের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি গুমের অভিযোগ করেন।

২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট নিখোঁজ হন আযমী।

আট বছর গুম থেকে মুক্ত হয়ে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার আরমান গুম হওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি গুম সংক্রান্ত কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন।

দীর্ঘ আট বছর পর গত বছরের ৬ আগস্ট আযমী ও আরমান গুম অবস্থা থেকে মুক্ত হন।

এফএইচ/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।