নীলফামারীর সৈয়দপুরে থানার মালখানা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে বাইরে বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। পরে মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের স্বজনদের সহায়তায় সেটি উদ্ধার করে ফের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ।
তিনি জাগো নিউজকে বলেন, থানার মালখানা থেকে মোটরসাইকেলটি চুরি হয়েছিল। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। এর আগে বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ এলাকার পশ্চিমপাড়া থেকে মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, ২৯ মে শহরের কয়ানিজপাড়ার ফারুক হোসেন ও মুক্তা বানু দম্পতির বাড়িতে যৌথবাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মাদকদ্রব্যসহ দুটি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মাদক কারবারি দম্পতিকে। ঘটনার ১৪৬ দিন পর বুধবার রাতে জব্দ করা সেই মোটরসাইকেলটি থানার বাইরে বিক্রির চেষ্টা করে একটি চক্র। এ সময় মোটরসাইকেল মালিকের স্বজনরা যৌথবাহিনীর অভিযানে জব্দ করা মোটরসাইকেল হিসেবে চিহ্নিত করে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। এ সময় কৌশলে পালিয়ে যায় চক্রটি। পুলিশ মোটরসাইকেলটি জব্দ করে ফের থানায় নিয়ে যায়।
আটক মুক্তার ভাই আতিক হাসানের ভাষ্য, আমার বোন ও তার স্বামীকে যৌথবাহিনী মাদকসহ আটক করে। তখন তাদের মোটরসাইকেলটি জব্দ করে থানায় নেওয়া হয়। বুধবার রাতে একজন ফোনে জানায়, মোটরসাইকেলটি থানার প্রায় চার কিলোমিটার দূরে মতির মোড়ে বিক্রি করার চেষ্টা হচ্ছে। আমি গিয়ে কাগজপত্র মিলিয়ে দেখি মোটরসাইকেলটি আমার বোন জামাইয়ের।
শওকত আলী নামে একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, যৌথবাহিনী ওই দম্পতিকে মাদকসহ আটক করে এবং মোটরসাইকেলটি জব্দ করে নিয়ে যায়। কিন্তু থানার মালখানায় মোটরসাইকেলটি থাকার কথা। পরে সেটি থানার বাইরে পাওয়া গেল কী ভাবে? এর উত্তর প্রশাসনকে দিতে হবে।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি অল্পদিন হলো এ থানায় যোগদান করেছেন। তাই এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে রাজি হননি।
আমিরুল হক/আরএইচ/জিকেএস
এডমিন 








