০১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জয় মিয়ার মরদেহ মিললেও খোঁজ নেই স্ত্রী মারজিয়ার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫
  • 13

রাজধানীর মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তাদেরই একজন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০)। তার মরদেহ স্বজনরা বুঝে পেলেও এখনো জয় মিয়ার স্ত্রী মারজিয়া সুলতানার মরদেহের হদিস মেলেনি।

চার মাস আগে বিয়ে করা এ দম্পতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মাত্র আটদিন আগে মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছিলেন। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল এখন মারজিয়ার বাবা সুলতান মিয়া।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো মেয়ের মরদেহ বুঝে পাইলাম না। আমি আমার মেয়ের লাশ কোথায় খুঁজবো? পুলিশকে জানানো হয়েছে, তারা বলেছে- আমার মেয়ের লাশ আছে, পরে জানানো হবে।’

গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুরের রূপনগরে শিয়ালবাড়ি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। পরে ওই ভবন থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতে মরদেহগুলো ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

jagonews24

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর শুরু হয়।

আরও পড়ুন
পাঁচদিন মর্গে থাকার পর ১৬ জনের মরদেহ পেল স্বজনরা

মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ গ্রহণ করার পর জয় মিয়ার বাবা সবুজ মিয়া বলেন, আমার ছেলের মরদেহ পেলেও বৌমাকে এখনো পাইনি।

মারজিয়ার বাবা সুনামগঞ্জের ধর্মগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া বলেন, ‘চার মাস আগে নেত্রকোনার বাসিন্দা জয়ের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিই। মাত্র আটদিন আগে তারা স্বামী-স্ত্রী ওই পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। তারা রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় থাকতো। আমার একটাই মেয়ে।’

‘আমি তো আমার মেয়েকে পেলাম না, আপনারা একটু খোঁজ রাইখেন। আমি জয়কে দাফনের জন্য তার মরদেহের সঙ্গে নেত্রকোনা যাচ্ছি’- সাংবাদিকদের বলেন এই অসহায় বাবা।

এ বিষয়ে রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উদ্ধার হয়েছে। সবগুলো মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। এখনো ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। যদি আরও কোনো মরদেহ উদ্ধার হলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাজী আল-আমিন/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

জয় মিয়ার মরদেহ মিললেও খোঁজ নেই স্ত্রী মারজিয়ার

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫

রাজধানীর মিরপুরে কেমিক্যাল গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তাদেরই একজন নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার নুরুল্লা গ্রামের সবুজ মিয়ার ছেলে জয় মিয়া (২০)। তার মরদেহ স্বজনরা বুঝে পেলেও এখনো জয় মিয়ার স্ত্রী মারজিয়া সুলতানার মরদেহের হদিস মেলেনি।

চার মাস আগে বিয়ে করা এ দম্পতি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার মাত্র আটদিন আগে মিরপুরের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নিয়েছিলেন। একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল এখন মারজিয়ার বাবা সুলতান মিয়া।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনো মেয়ের মরদেহ বুঝে পাইলাম না। আমি আমার মেয়ের লাশ কোথায় খুঁজবো? পুলিশকে জানানো হয়েছে, তারা বলেছে- আমার মেয়ের লাশ আছে, পরে জানানো হবে।’

গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মিরপুরের রূপনগরে শিয়ালবাড়ি পোশাক কারখানা ও কেমিক্যাল গোডাউনে আগুন লাগে। পরে ওই ভবন থেকে ১৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওইদিন রাতে মরদেহগুলো ঢামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়।

jagonews24

রোববার (১৯ অক্টোবর) রাত সোয়া ১০টার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো হস্তান্তর শুরু হয়।

আরও পড়ুন
পাঁচদিন মর্গে থাকার পর ১৬ জনের মরদেহ পেল স্বজনরা

মর্গ থেকে ছেলের মরদেহ গ্রহণ করার পর জয় মিয়ার বাবা সবুজ মিয়া বলেন, আমার ছেলের মরদেহ পেলেও বৌমাকে এখনো পাইনি।

মারজিয়ার বাবা সুনামগঞ্জের ধর্মগঞ্জ থানা এলাকার বাসিন্দা সুলতান মিয়া বলেন, ‘চার মাস আগে নেত্রকোনার বাসিন্দা জয়ের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে দিই। মাত্র আটদিন আগে তারা স্বামী-স্ত্রী ওই পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। তারা রূপনগর শিয়ালবাড়ি এলাকায় থাকতো। আমার একটাই মেয়ে।’

‘আমি তো আমার মেয়েকে পেলাম না, আপনারা একটু খোঁজ রাইখেন। আমি জয়কে দাফনের জন্য তার মরদেহের সঙ্গে নেত্রকোনা যাচ্ছি’- সাংবাদিকদের বলেন এই অসহায় বাবা।

এ বিষয়ে রূপনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, এ পর্যন্ত ১৬টি মরদেহ ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে উদ্ধার হয়েছে। সবগুলো মরদেহ ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে। এখনো ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাজ করছেন। যদি আরও কোনো মরদেহ উদ্ধার হলে প্রক্রিয়া অনুযায়ী স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

কাজী আল-আমিন/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।