০৪:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫
  • 15

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেনি সংগঠনটি।

গত ২২ নভেম্বর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন শাহজাহান চৌধুরী। জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শাহজাহান চৌধুরী বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মঞ্চে ছিলেন না।

প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক সংসদ সদস্য পুলিশকে তাদের পেছনে হাঁটানো ও তাদের কথায় মামলা গ্রহণ ও আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ওই সম্মেলনে তাদের সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, ‘যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে, থানার ওসি আপনার প্রোগ্রাম সকালে জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দিবেন।’ যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংগঠন নিয়ে অতিমাত্রায় রাজনৈতিক বক্তব্যের শামিল।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান ও বিধিবদ্ধ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। গত ১৭ বছর পুলিশের কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সদস্য বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে জনগণের সঙ্গে দূরত্বের ক্ষেত্র তৈরি করে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ নিরপেক্ষ ও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোনো দল ও মতের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করছে না। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করে জন-আকাঙ্ক্ষার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কারও দলদাস হয়ে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সেই দিন সুদূর পরাহত। বিধিবদ্ধ আইন ও জনকল্যাণকে সামনে রেখে পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করে শুধু জনগণের কাছে জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস রাখে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক নেতাদের এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা মূলক ও পুলিশের জন্য হেয় প্রতিপন্ন হয় এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

টিটি/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

জামায়াত নেতার বক্তব্যে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিবাদ

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরীর বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সোমবার (২৪ নভেম্বর) অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। প্রতিবাদলিপিতে কোনো রাজনৈতিক দলের নাম উল্লেখ করেনি সংগঠনটি।

গত ২২ নভেম্বর বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জিইসি কনভেনশন হলে জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত নির্বাচনি দায়িত্বশীল সম্মেলনে এমন মন্তব্য করেন শাহজাহান চৌধুরী। জামায়াত আমির ড. শফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও শাহজাহান চৌধুরী বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি মঞ্চে ছিলেন না।

প্রতিবাদলিপিতে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, একটি রাজনৈতিক দলের সাবেক সংসদ সদস্য পুলিশকে তাদের পেছনে হাঁটানো ও তাদের কথায় মামলা গ্রহণ ও আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এ বক্তব্যটি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।

ওই সম্মেলনে তাদের সাবেক সংসদ সদস্য বলেন, ‘যার যার নির্বাচনি এলাকায় প্রশাসনকে আমাদের আন্ডারে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে, আমাদের কথায় গ্রেফতার করবে, আমাদের কথায় মামলা করবে। পুলিশকে আপনার পেছনে পেছনে হাঁটতে হবে, থানার ওসি আপনার প্রোগ্রাম সকালে জেনে নিয়ে আপনাকে প্রটোকল দিবেন।’ যা একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের পুলিশের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সংগঠন নিয়ে অতিমাত্রায় রাজনৈতিক বক্তব্যের শামিল।

এতে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সংবিধান ও বিধিবদ্ধ আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। গত ১৭ বছর পুলিশের কিছু উচ্চাকাঙ্ক্ষী সদস্য বাংলাদেশ পুলিশকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে জনগণের সঙ্গে দূরত্বের ক্ষেত্র তৈরি করে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর পুলিশ নিরপেক্ষ ও সুচারুভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোনো দল ও মতের পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান করে কোনো কার্যক্রম গ্রহণ করছে না। রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করে জন-আকাঙ্ক্ষার পুলিশে রূপান্তরিত হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আরও জানায়, ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে পুলিশ অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কারও দলদাস হয়ে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সেই দিন সুদূর পরাহত। বিধিবদ্ধ আইন ও জনকল্যাণকে সামনে রেখে পুলিশ বাহিনী দায়িত্ব পালন করে শুধু জনগণের কাছে জবাবদিহিতার সংস্কৃতিতে বিশ্বাস রাখে।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন রাজনৈতিক নেতাদের এমন উচ্চাকাঙ্ক্ষা মূলক ও পুলিশের জন্য হেয় প্রতিপন্ন হয় এমন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

টিটি/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।