০৮:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান ইসরায়েলের বিরোধী দলনেতার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫
  • 9

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলনেতা ইয়ার লাপিদ।

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে অন্য যে কারও চেয়ে ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য। ইসরায়েলিদের উচিত, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

তিনি আরও বলেছেন, দুটি অন্ধকার বছরের পর এটি একটি আলোকিত মুহূর্ত। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল, স্টিভ উইটকোফ, জার্ড ক্রুসনার, মার্কো রুবিও ও টনি ব্লেয়ারকে অভিনন্দন জানাই। আরও অভিনন্দন জানাই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কমান্ডার ও সেনাদের। সবার ওপরে অভিনন্দন জানাতে চাই- জিম্মিদের পরিবারকে, যারা এক মুহূর্তের জন্যও তাদের স্বজনদের ভুলতে দেয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, এই যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য।

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই রাজি হয়েছে বলে বুধবার (৮ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে দুই পক্ষ সম্মত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এ পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে পারে। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু নেসেটে (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট) ভাষণ দিতে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও উপত্যকাটিতে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেককেই মুক্তি দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাদের মধ্যে ৪৭ জন এখনো জিম্মি। এর মধ্যে ২৫ জন আর বেঁচে নেই বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে ওই দিন থেকেই গাজায় টানা বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অন্তত ৬৭ হাজার ১৭৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ জন শিশু।

সূত্র : ইয়েনেট গ্লোবাল

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল দেওয়ার আহ্বান ইসরায়েলের বিরোধী দলনেতার

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অক্টোবর ২০২৫

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির চুক্তি করায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের বিরোধী দলনেতা ইয়ার লাপিদ।

ট্রাম্পকে নোবেল পুরস্কার দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে অন্য যে কারও চেয়ে ট্রাম্প নোবেল পুরস্কার সবচেয়ে বেশি প্রাপ্য। ইসরায়েলিদের উচিত, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

তিনি আরও বলেছেন, দুটি অন্ধকার বছরের পর এটি একটি আলোকিত মুহূর্ত। আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দল, স্টিভ উইটকোফ, জার্ড ক্রুসনার, মার্কো রুবিও ও টনি ব্লেয়ারকে অভিনন্দন জানাই। আরও অভিনন্দন জানাই প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) কমান্ডার ও সেনাদের। সবার ওপরে অভিনন্দন জানাতে চাই- জিম্মিদের পরিবারকে, যারা এক মুহূর্তের জন্যও তাদের স্বজনদের ভুলতে দেয়নি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ বলেন, কোনো সন্দেহ নেই, এই যুদ্ধবিরতির জন্য ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার প্রাপ্য।

গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তির প্রথম ধাপে ইসরায়েল ও হামাস উভয়েই রাজি হয়েছে বলে বুধবার (৮ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে নিশ্চিত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে দুই পক্ষ সম্মত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা এ পরিকল্পনার অনুমোদন দিতে পারে। এরই মধ্যে নেতানিয়াহু নেসেটে (ইসরায়েলের পার্লামেন্ট) ভাষণ দিতে ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

পরিকল্পনার প্রথম পর্যায়ে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও উপত্যকাটিতে হামাসের হাতে থাকা ৪৮ জন জিম্মিকে (জীবিত ও মৃত) মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি রয়েছে। জিম্মিদের মধ্যে ২০ জন জীবিত আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের অনেককেই মুক্তি দেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১ হাজার ২১৯ জন নিহত হন। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। তাদের মধ্যে ৪৭ জন এখনো জিম্মি। এর মধ্যে ২৫ জন আর বেঁচে নেই বলে দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। অন্যদিকে ওই দিন থেকেই গাজায় টানা বর্বর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।

হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত দুই বছরে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় অন্তত ৬৭ হাজার ১৭৩ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২০ হাজার ১৭৯ জন শিশু।

সূত্র : ইয়েনেট গ্লোবাল

এসএএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।