ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার (১৭ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন। এর আগে আলাস্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টদের বৈঠকে ইউক্রেন ইস্যুতে কোনো চুক্তি হয়নি।
বৈঠকের পর ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, যুদ্ধ শেষ করার সেরা উপায় হলো সরাসরি শান্তি চুক্তি করা, সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়—কারণ তা প্রায়শই টেকে না।
যদিও কোনো সমঝোতা হয়নি, তবে ট্রাম্প দাবি করেছেন আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে। অন্যদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, তিনি সংঘাতের অবসানে আন্তরিকভাবে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কা অঙ্গরাজ্যের অ্যাঙ্কোরেজ শহরের একটি সামরিক ঘাঁটিতে শুক্রবার প্রায় তিন ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই বৈঠকে যে ধরনের ফলাফলের কথা ধারণা করা হচ্ছিল তা হয়নি। ফলে এই বিষয়টি সাময়িকভাবে কিয়েভকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে বলে মনে করেন বিবিসি মনিটরিংয়ের রাশিয়ান সম্পাদক ভিটালি শেভচেঙ্কো।
ইউক্রেনের মানুষ জানবে যে, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ভেস্তে গেছে সেটা যদি আঙ্কোরেজের বৈঠকে ঘোষণা করা হতো সেটা সন্দেহের চোখেই দেখা হতো। যদিও তেমনটি হয়নি।
তবে ইউক্রেনের মানুষ আতঙ্কিত, কারণ পুতিন যৌথ সংবাদ সম্মেলনে সংঘাতের মূল কারণ উল্লেখ করেছেন এবং এই সংকট সমাধান করেই স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন।
ক্রেমলিনের ভাষায় এর অর্থ দাঁড়ায়–– ইউক্রেনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ধ্বংস করার ব্যাপারে এখনো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ রাশিয়া। যে কারণে তিন বছর ধরেও এই যুদ্ধের অবসান ঘটানো সম্ভব হয়নি। এমনকি আলাস্কার বৈঠকও পুতিনের মন পরিবর্তনে ব্যর্থ হয়েছে।
বৈঠকের পর যে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে তা উদ্বেগজনক। আগামীতে কী হবে? রাশিয়া হামলা অব্যাহত রাখবে?
গত কয়েক মাসে পশ্চিমা দেশগুলো নির্ধারিত সময়সীমা দিয়ে হুমকি দিলেও কোনো ফল হয়নি। ইউক্রেনের জনগণ মনে করছেন ভবিষ্যতেও চলবে এই হামলা। যে কারণে মনে করা হচ্ছে যে আলাস্কায় আসলে কোনো অর্জনই হয়নি।
সূত্র: বিবিসি
এমএসএম