০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৩ অগাস্ট ২০২৫, ২৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে আলটিমেটাম

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • 4

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি শিক্ষার্থী জিয়াউল হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত স্বৈরাচারের আমলে আমরা দেখেছি- বিভিন্ন এনজিওর ফান্ডিংয়ে স্কুল সিলেবাসে শরীফ-শরীফার গল্প ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ/সমকামিতাকে কথিত অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং সেটাকে প্রমোট করার এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে।

জিয়াউল হক বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কার্যক্রম চলমান থাকলে পুনরায় কোটা প্রথা ফিরে আসবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার/সমকামি কোটার প্রচলন করা হবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদে ‘সমকামি ইমাম’ নামে নতুন কোটারও বন্দোবস্ত করা হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কার্যক্রম দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানবে। সমকামিতার মত জঘন্য বিকৃতি ও অপরাধকে বৈধতা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আকিদা-বিশ্বাস তথা ইমান হারিয়ে বেঈমান করা হবে। পতিতাবৃত্তির নামে নারী নিপীড়ন ও নারী পাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হরণ হবে।

তিনি আরও বলেন. আমরা একাধিকবার সরকারকে জানালেও সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাতিল না করলে ঢাবির বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এফএআর/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিসের অনুমোদন বাতিলে আলটিমেটাম

আপডেট সময়ঃ ১২:০৬:০৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপনের অনুমতি বাতিলের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১০ আগস্ট) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী’ ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ আলটিমেটাম দেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ঢাবি শিক্ষার্থী জিয়াউল হক।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত স্বৈরাচারের আমলে আমরা দেখেছি- বিভিন্ন এনজিওর ফান্ডিংয়ে স্কুল সিলেবাসে শরীফ-শরীফার গল্প ঢুকিয়ে বাচ্চাদের মগজে ট্রান্সজেন্ডার বা সমকামিতাকে বৈধ করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল। জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের ওয়েবসাইটে এলজিবিটিকিউ/সমকামিতাকে কথিত অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া এবং সেটাকে প্রমোট করার এজেন্ডার কথা বলা হয়েছে।

জিয়াউল হক বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কার্যক্রম চলমান থাকলে পুনরায় কোটা প্রথা ফিরে আসবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও চাকরি পরীক্ষায় ট্রান্সজেন্ডার/সমকামি কোটার প্রচলন করা হবে। এমনকি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মসজিদে ‘সমকামি ইমাম’ নামে নতুন কোটারও বন্দোবস্ত করা হবে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের কার্যক্রম দেশের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর আঘাত হানবে। সমকামিতার মত জঘন্য বিকৃতি ও অপরাধকে বৈধতা দেয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদেরকে তাদের আকিদা-বিশ্বাস তথা ইমান হারিয়ে বেঈমান করা হবে। পতিতাবৃত্তির নামে নারী নিপীড়ন ও নারী পাচারকে স্বীকৃতি দেয়া হবে। দেশের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে। ধর্ম পালন ও প্রচারের স্বাধীনতা হরণ হবে।

তিনি আরও বলেন. আমরা একাধিকবার সরকারকে জানালেও সরকার আমাদের কথায় কর্ণপাত করেনি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বাতিল না করলে ঢাবির বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে লাগাতার কঠোর কর্মসূচি দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এফএআর/জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।