শাহীন আলম নিজের পরিচয় দেয় একজন দুধ ব্যবসায়ী। তার রয়েছে ৭ কোটি টাকার সম্পত্তি। আর ১০টি ব্যাংকে ৬ কোটি ৬২ লাখ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন। তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে উঠে আসে শাহীন আলম একজন মাদককারবারি।
সিআইডি জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মাদকপাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন তিনি। বুধবার (৩০ জুলাই) রাতে সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পাবনার আতাইকুলা থানার কুখ্যাত মাদককারবারি শাহীন আলমের বিরুদ্ধে অর্থপাচার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের তৎপরতায় প্রায় ৭ কোটি টাকার সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, মাদককারবারির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অর্থ উপার্জনের অভিযোগে শাহীন আলমের বিরুদ্ধে আতাইকুলা থানায় মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন মামলা রুজু করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে, অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধলব্ধ অর্থে ১৯২.৬৭ শতাংশ জমিসহ বিভিন্ন মূল্যবান স্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এসব সম্পত্তি জব্দের নির্দেশ দেন।
বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন আরও বলেন, তদন্তে শাহীন আলমের নামে থাকা ১০টি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে মোট ৬ কোটি ৬২ লাখ ১ হাজার ৬৪ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। বর্তমানে এসব ব্যাংক হিসাবে ৪২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৮৭ টাকা জমা রয়েছে, যা আদালতের নির্দেশে ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। শাহীন আলম নিজেকে একজন দুগ্ধ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিলেও তদন্তে উঠে এসেছে তিনি আতাইকুলা উপজেলায় একটি সংঘবদ্ধ মাদক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। এ চক্রের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে মাদকপাচার করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের খোঁজে অনুসন্ধান অব্যাহত। আইন অনুযায়ী মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান এবং সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান সিআইডির এই কর্মকর্তা।
টিটি/এমআরএম