গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ দীর্ঘায়িত করলে দেশের মানুষ আবার জেগে উঠবে বলে হুঁশিয়ার উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, নতুন ‘বন্দোবস্তের’ কথা বলা হচ্ছে, সেটি যেন ‘চিরস্থায়ী বন্দোবস্তে’ পরিণত না হয়। আমরাও পরিবর্তন চাই, তবে সব পরিবর্তন কিন্তু পরিবর্তন নয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওয়ান-ইলেভেনের সময় ঢাকা শহরের প্রতিটি জায়গায় একটি গোষ্ঠী ব্যানার-ফেস্টুন করেছিল ‘সবকিছু বদলে দাও, পাল্টে দাও’। আমি তখনও বলেছিলাম, পৃথিবীর সবকিছু বদলে দেওয়া যায় না, পাল্টে দেওয়া যায় না।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, আমরা তো অতীতে উদাহরণ দেখেছি। ৯০ দিনের ব্যবধানে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। আমাদের চোখের সামনে সেই উদাহরণ আছে। তাহলে কি আমরা সেই প্রশ্ন করতে পারি না? দীর্ঘ এক বছরের ব্যবধানে কেন আমরা উত্তরণ করতে পারিনি? আজকে আমাদের জবাবদিহি করারও প্রয়োজন আছে।
তিনি বলেন, বিভেদ কিন্তু আমাদের স্মরণ রাখতে হবে। অন্যথায় আমাদের সেই সকল প্রচেষ্টা ভুলে পরিণত হবে এবং তা-ই হচ্ছে।
মঈন খান বলেন, সংস্কার, সেই প্রসঙ্গেই বলেছি, সংস্কার কিন্তু সংস্কারের জন্য নয়। কসমেটিক পরিবর্তন দিয়ে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হবে না। সংবিধানের কিছু বাক্যের যদি আমরা পরিবর্তন করি, সংবিধানের পরিবর্তন কেন, আপনারা যদি পুরো সংবিধান পাল্টেও দেন তাহলে কোনো লাভ হবে না। যারা সংবিধান পরিবর্তন করে, এই দেশের আমরা যারা, মানুষের অন্তরের যদি পরিবর্তন না হয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ একটা স্বাধীন দেশ চেয়েছিল কেন? এই দেশে গণতন্ত্র থাকবে। পাকিস্তানে থেকে এই দেশে গণতন্ত্র সম্ভব নয়, সেটা বিশ্বাস করেই আমরা একটা আলাদা রাষ্ট্র চেয়েছি।
বিএনপির নেতা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অনুরোধ করবো, আপনারা এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উত্তরণের পথকে দীর্ঘায়িত করবেন না, তাহলে কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ আবার জেগে উঠবে।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে এতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
কেএইচ/এমকেআর