নিউইয়র্কের ব্রংক্সের নিরব রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাংস্কৃতিক আয়োজন ‘সাজুফতা চায়ের আড্ডা’। সব্যসাচী কবি জুলি রহমানের পরিচালনায় আসর ছিল বিদ্রোহী ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণে এক বিশেষ সাহিত্যিক মিলনমেলা।
অনুষ্ঠানে কবি জুলি রহমানের রচিত নজরুল-স্মরণে গীতিকাব্য পাঠ করে আবেগ ছড়িয়ে দেন। পাশাপাশি ব্রংক্সের অসংখ্য কবি, সাহিত্যপ্রেমী ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নিয়ে একে একে পরিবেশন করেন নজরুলের অমর গান, কবিতা ও আলোচনাপর্ব। প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় ছিলেন রেজা আব্দুল্লাহ, যিনি পুরো আসরকে করে তোলেন আরও প্রাণবন্ত ও আকর্ষণীয়।

কবিতা পাঠ করেন, ছন্দা বিনতে সুলতান, সুধাংশু কুমার মন্ডল, ননী মল্লিক, বিজয় সাহা, তাহের চৌধুরী, মনিকা মন্ডল, নাসির উদ্দিন প্রমুখ। মনিকা মন্ডলের বাচনভঙ্গি ও প্রমিত বাংলা উচ্চারণ বিশেষভাবে সবার দৃষ্টি কাড়ে। লিয়াকত আলী আবৃত্তি করেন নজরুলের কালজয়ী কবিতা বিদ্রোহী। এছাড়া লেখিকা আম্বিয়া অন্তরা নজরুলের জীবনভিত্তিক গীতি-কাব্য উপস্থাপন করেন।
গানের আসরে ছিলেন, শাকিলা বাবলা, যিনি নজরুলগীতিসহ আঞ্চলিক গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন। গান করেন ননী মল্লিক, কাউসার লিমন এবং নাসির উদ্দিনও গানে অংশ নেন। আলোচনায় নজরুলের বিদ্রোহী কবিতার তাৎপর্য তুলে ধরেন সুসাহিত্যিক বিজয় সাহা। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কবিতা পাঠ করেন শাকিলার মা ও শাশুড়ি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন লাকী ইসলাম, ফজলুর রহমান নন্দী, কাজী আয়ান মুবীনসহ প্রবাসের বিশিষ্টজনেরা। প্রধান অতিথি ছিলেন কমিউনিটি ব্যক্তিত্ব হাসান আলী, যিনি আমেরিকার প্রতিটি স্কুলে দ্বিভাষিক শিক্ষায় বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
অনুষ্ঠানের চিত্র প্রতিবেদন করেন নারী উদ্যোক্তা আম্বিয়া বেগম অন্তরা।
প্রবাসে থেকেও সাহিত্যকে বাঁচিয়ে রাখতে জুলি রহমানের এই নিরলস প্রয়াস প্রশংসিত হয়েছে সবার কাছে। অংশগ্রহণকারীরা বলেন, প্রবাসের ব্যস্ত নগরজীবনের ভিড়ে এমন আয়োজন নজরুলের চেতনা ও সুরকে ছড়িয়ে দেয় আবেগে, সৃজনে ও মানবিকতায়যা সাহিত্য-সংস্কৃতির এক অনন্য মেলবন্ধন।
এমআরএম/এমএস
প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা, ভ্রমণ, গল্প-আড্ডা, আনন্দ-বেদনা, অনুভূতি, স্বদেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক লেখা পাঠাতে পারেন। ছবিসহ লেখা পাঠানোর ঠিকানা – jagofeature@gmail.com
এডমিন 
















