০৮:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৬ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্ত হতে দেওয়া যাবে না

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • 2

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ছোটকালে আমরা স্কুলে যেই ভাষায় কথা বলতাম, এখন আর সে ভাষা নেই। নোয়াখালী ভাষা বিলুপ্ত হতে দেওয়া উচিত না।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নোয়াখালী জেলা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজন সংবর্ধনা-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী থেকে অনেকে এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপক। নোয়াখালীর মানুষরা আসলে মেধাবী এবং উদ্যোগীও। কিন্তু মুশকিলটা হলো যে, অন্যান্য জেলা যেমন করে আঞ্চলিকতা বজায় রাখে, তারা তাদের নিজেদের ভাষায় সবসময় কথা বলতে পছন্দ করে। নোয়াখালীর মানুষ তাদের আঞ্চলিক ভাষায় সেভাবে কথা বলে না।

তিনি বলেন, আমি যে নোয়াখালীর সেটাও খুব কম মানুষ জানে। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত নোয়াখালীতে পড়েছি। এর আগে রায়পুরে পড়েছি। আমার আফসোস হয়, ক্লাস সেভেন থেকে ঢাকায় চলে আসার পর আর নোয়াখালী যাইনি। ঢাকাতে যে আসলাম তারপর একদম যখন উপদেষ্টা হয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে, তারও বেশ কয়েক বছর পরে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালীতে প্রথম গেলাম। তার আগে মাঝখানে যাইনি। সেজন্য অপরাধবোধ হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও অর্জনের দিক থেকে নোয়াখালী অনেক ওপরে। মুশকিলটা হলো নোয়াখালীতে যারা খুব ভালো উদ্যোগী হয় বা শিক্ষায় যারা ভালো করে তারা আর নোয়াখালীতে ফিরে যায় না।

উপদেষ্টা বলেন, নোয়াখালী নিয়ে দু-তিনটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নোয়াখালীতে যেই ট্রেনটা বন্ধ হয়ে গেছে সেটা অচিরেই আবার শুরু হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ নোয়াখালীর গুণীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নোয়াখালী থেকে আগত ঢাকায় অধ্যয়নরত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরএএস/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্ত হতে দেওয়া যাবে না

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। ছোটকালে আমরা স্কুলে যেই ভাষায় কথা বলতাম, এখন আর সে ভাষা নেই। নোয়াখালী ভাষা বিলুপ্ত হতে দেওয়া উচিত না।

বুধবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নোয়াখালী জেলা কল্যাণ সমিতি আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থী ও গুণীজন সংবর্ধনা-২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নোয়াখালী থেকে অনেকে এখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধ্যাপক। নোয়াখালীর মানুষরা আসলে মেধাবী এবং উদ্যোগীও। কিন্তু মুশকিলটা হলো যে, অন্যান্য জেলা যেমন করে আঞ্চলিকতা বজায় রাখে, তারা তাদের নিজেদের ভাষায় সবসময় কথা বলতে পছন্দ করে। নোয়াখালীর মানুষ তাদের আঞ্চলিক ভাষায় সেভাবে কথা বলে না।

তিনি বলেন, আমি যে নোয়াখালীর সেটাও খুব কম মানুষ জানে। ক্লাস সিক্স পর্যন্ত নোয়াখালীতে পড়েছি। এর আগে রায়পুরে পড়েছি। আমার আফসোস হয়, ক্লাস সেভেন থেকে ঢাকায় চলে আসার পর আর নোয়াখালী যাইনি। ঢাকাতে যে আসলাম তারপর একদম যখন উপদেষ্টা হয়েছিলাম ১৯৯৬ সালে, তারও বেশ কয়েক বছর পরে আমার স্ত্রীকে নিয়ে নোয়াখালীতে প্রথম গেলাম। তার আগে মাঝখানে যাইনি। সেজন্য অপরাধবোধ হয়।

তিনি বলেন, প্রতিবাদ ও অর্জনের দিক থেকে নোয়াখালী অনেক ওপরে। মুশকিলটা হলো নোয়াখালীতে যারা খুব ভালো উদ্যোগী হয় বা শিক্ষায় যারা ভালো করে তারা আর নোয়াখালীতে ফিরে যায় না।

উপদেষ্টা বলেন, নোয়াখালী নিয়ে দু-তিনটা পরিকল্পনা করা হচ্ছে। নোয়াখালীতে যেই ট্রেনটা বন্ধ হয়ে গেছে সেটা অচিরেই আবার শুরু হওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দীন আহমেদ। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ নোয়াখালীর গুণীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নোয়াখালী থেকে আগত ঢাকায় অধ্যয়নরত স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

আরএএস/এমআরএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।