তিন বছর তিন মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা দপ্তরের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আটজন সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ডের পর জামিন পেলেন তিনি।
আদালতের নির্দেশ মতো মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) কলকাতার আলিপুর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এর আগের দিন সোমবার (১০ নভেম্বর) আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
জেল মুক্তির পর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্বাগত জানাতে আলিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে ভিড় করেন তার সমর্থকেরা। ভিড় সামাল দিতে কার্যত হিমশিম খেতে হয় পুলিশকেও। এসময় ‘পার্থ চট্টোপাধ্যায় জিন্দাবাদ’, ‘জয় বাংলা’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় পার্থের অনুসারীদের।
পরে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় কলকাতার নাকতলার বাড়িতে।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিনে মুক্তির পর বিজেপির সভাপতি শ্রমিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জেল মুক্তির অর্থ এই নয় যে, তিনি অভিযোগ থেকে মুক্ত হয়ে গেলেন। জামিনের অধিকার আছে প্রত্যেক অভিযুক্তের। সেই হিসেবে আইন জামিন দিয়েছে। আমরা আশা করবো পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রকৃত অবস্থান জেলের বাইরে এসে বলবেন।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের ২৩ জুলাই কলকাতার নাকতলার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তে নেমে ২০২২ সালের জুলাইয়ে অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে এক মডেলের দুটি ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি রুপি উদ্ধার করে। সঙ্গে বেশ কয়েক কেজি সোনার গহনা উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায় তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। সিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্রে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে প্রভাবশালীর তকমা দেওয়া হয়। তবে সবকটি মামলা থেকেই আপাতত জামিন পেয়েছেন তিনি।
ডিডি/এমএমকে
এডমিন 










