সারাদেশে পুলিশের ওপর কমবেশি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এসব হামলাগুলো প্রতিহত করতে জনগণই যথেষ্ট বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
তিনি বলেন, সম্প্রতি নরসিংদীতে একটা ঘটনা ঘটেছে। এটা যেভাবে প্রচার হয়েছে এভাবে যদি সব ঘটনা প্রচার হয় তবে আমাদের জন্য ভালো হয়। জনগণ যখন দেখবে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না তখন তারাই এসব ঘটনা প্রতিহত করতে যথেষ্ট।
বুধবার (৮ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) ২০টি নতুন গাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
সারাদেশে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাগুলোর প্রেক্ষিতে পুলিশ কি করছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের ওপর জনগণের হামলার সংখ্যা আগের থেকে অনেকটা কমে এসেছে। কিন্তু সম্প্রতি নরসিংদীতে একটা ঘটনা ঘটেছে। আপনারা যেভাবে প্রচার করছেন এভাবে যদি প্রচার করেন তবে আমাদের জন্য ভালো হয়। জনগণ যখন দেখবে কাজগুলো ভালো হচ্ছে না তখন তারাই এসব ঘটনা প্রতিহত করতে যথেষ্ট।
পুলিশের গাড়ি ও আবাসন সংকট জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ গাড়ির প্রয়োজন সেই পরিমাণ গাড়ি নেই। তারপরও আমরা প্রধান উপদেষ্টা এবং সব উপদেষ্টার আন্তরিক চেষ্টার কারণে সরকারিভাবে এ গাড়িগুলো কেনা সম্ভব হয়েছে।
পুলিশের গাড়ি খুবই প্রয়োজন। যানবাহনের খুবই সংকট।
উপদেষ্টা বলেন, পুলিশের শুধু যানবাহন সংকট নয়, পুলিশের কিন্তু থাকার জায়গারও সমস্যা। ডিএমপির ৫০ থানার মধ্যে কিন্তু ২৫টা থানা ভাড়ায় চলছে। এর মধ্যে ৫টা থানার ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। দুইটা থানা হয়তো আমরা তাড়াতাড়ি করতে পারবো। তারপর হয়তো পর্যায়ক্রমে পরবর্তী থানাগুলো করা হবে।
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঢাকায় ঝটিকা মিছিলের সংখ্যা কমে গেছে দাবি করে তিনি বলেন, একই সময়ে ২৪৪ জনকে ধরার পর এই ঝটিকা মিছিলের সংখ্যাটা কমে এসেছে। সবাই সহযোগিতা করলে আরও কমে আসবে। এক সময় আস্তে আস্তে এই সংখ্যা কমে এসে একবারে নির্মূল হয়ে যাবে।
অপরাধীর সংখ্যা একেবারে কমে এসেছে, যখন ইলেকশান আসবে এই ধরনের অপরাধগুলো আরও কমে আসবে বলে মনে করেন তিনি। তখন তাদের পার্টি প্রসেশন করবে বলে তার প্রত্যাশা।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য কয়েকটা সংস্থা কাজ করে। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইলেকশন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যারা নির্বাচন করবে পলিটিক্যাল পার্টি। তাদের সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন।
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, সবাই মিলে সহযোগিতা করলে আগামীর নির্বাচন সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হবে। দেশে সবচেয়ে বড় স্টকহোল্ডার হলো জনগণ। জনগণ যখন নির্বাচনমুখী হবে তখন কেউ আর কোনো কিছু আটকাতে পারবে না। জনগণ হলো সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর। আমাদের দেশের জনগণ কিন্তু নির্বাচন সম্পর্কে খুবই সচেতন।
এখনই কিন্তু চায়ের স্টলে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। দিন যত ঘনিয়ে আসবে আলোচনা তত বাড়বে বলেও জানান তিনি।
কেআর/এমআইএইচএস/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













