দুই দফা দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে প্রায় সাত ঘণ্টা ধরে প্রশাসনিক ভবনে অবরুদ্ধ রয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তার সঙ্গে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালযয়ের প্রক্টর, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও।
শিক্ষার্থীদের দুই দফা হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (জকসু) তফসিল ঘোষণা ও নির্বাচনের রোডম্যাপ এবং ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীকে আবাসন বৃত্তি দিতে হবে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে তিনটায় দুই দফা দাবিতে ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ ঘোষণা করেন শিক্ষার্থীরা৷ এরপর তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা।
আরও পড়ুন
রাত ১১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উপাচার্যসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রশাসনিক ভবনের ভেতরেই অবরুদ্ধ রয়েছেন। ভবনের ফটকে তালা ঝুলানো এবং বাইরে শিক্ষার্থীর অবস্থান করছেন।

এদিকে, অবরুদ্ধ অবস্থায় জবি উপাচার্য বলেছেন, আন্দোলনকারীরা যতক্ষণ পর্যন্ত আছেন, তারাও ততক্ষণ থাকবেন। আর কোষাধ্যক্ষ বলেছেন, ৫ বা ১০ দিনও যদি অবরুদ্ধ থাকা লাগে, তিনি থাকবেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের মুখ্য সংগঠক ফেরদৌস শেখ বলেন, আমাদের দুই দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত ‘নো ওয়ার্ক কর্মসূচি’ চালু থাকবে। তারা আমাদের হয় দুই দফা দাবি মেনে নেবে, নতুবা এভাবে অবরুদ্ধ অবস্থায় থাকবে।
আরও পড়ুন
এর আগে, দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। এরপর দুপুর ১২টা থেকে বিকেল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপাচার্যের কক্ষের সামনে ‘ব্রেক দ্য সাইলেন্স’ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগান দেয় তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এএএইচ/এমকেআর
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 












