০৩:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেনীর যে দিঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন খালেদা জিয়া

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 3

প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে। ওই এলাকার মজুমদার বাড়ির সামনেই রয়েছে একটি দিঘি। এই দিঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন খালেদা জিয়া। কখনো এখানে এলে ঢাকায় ফেরার সময় সঙ্গে করে দিঘির মাছ নিয়ে যেতেন। দিঘিটি এখন শুধুই স্মৃতি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীতে আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে দিঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

মজুমদার বাড়ির প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে শানবাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সঙ্গে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন তিনি।

বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম হোসেন মজুমদার বলেন, ‘এ দিঘির মাছ তিনি (খােলেদা জিয়া) খুব পছন্দ করতেন। তিনি আসার খবর পেলেই দিঘিতে মাছ ধরা হতো। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাকে হারিয়ে দেশ-জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কখনো পোষাবে না।’

নিজ পৈতৃক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদরাসা, মসজিদ-স্কুল-কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার দাদা সালামত আলী, নানা জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ায় তার জন্ম। আদি পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি।

খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এরপর দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। একই বছর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরুর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন।

১৯৬০ সালের আগস্টে যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়, তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন।

খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। তার পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ফেনীর যে দিঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

প্রয়াত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুরে। ওই এলাকার মজুমদার বাড়ির সামনেই রয়েছে একটি দিঘি। এই দিঘির মাছ খুব পছন্দ করতেন খালেদা জিয়া। কখনো এখানে এলে ঢাকায় ফেরার সময় সঙ্গে করে দিঘির মাছ নিয়ে যেতেন। দিঘিটি এখন শুধুই স্মৃতি।

পরিবারের সদস্যরা জানান, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরে হেলিকপ্টারযোগে ফেনীতে আসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। তাকে বহন করা হেলিকপ্টারটিকে আধাঘণ্টা দাঁড় করিয়ে দিঘির মাছ নিয়ে ঢাকায় ফেরেন তিনি।

মজুমদার বাড়ির প্রতিটি ধুলিকণার সঙ্গে মিশে আছে বেগম জিয়ার হাজারো স্মৃতি। বাড়ির পাশে শানবাঁধানো ঘাটে বসে গল্প করতেন ভাইদের সঙ্গে। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়েও খুব সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন তিনি।

বেগম জিয়ার চাচাতো ভাই শামীম হোসেন মজুমদার বলেন, ‘এ দিঘির মাছ তিনি (খােলেদা জিয়া) খুব পছন্দ করতেন। তিনি আসার খবর পেলেই দিঘিতে মাছ ধরা হতো। আজ তিনি আমাদের মাঝে নেই। তাকে হারিয়ে দেশ-জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কখনো পোষাবে না।’

নিজ পৈতৃক নিবাসে জনসাধারণের জন্য বেগম জিয়া নির্মাণ করেছেন মাদরাসা, মসজিদ-স্কুল-কলেজসহ বহু স্থাপনা। বেগম জিয়ার মৃত্যুতে ফুলগাজীসহ ফেনী জেলাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তিন বোন এবং দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। তার দাদা সালামত আলী, নানা জলপাইগুড়ির তোয়াবুর রহমান। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার এবং মা বেগম তৈয়বা মজুমদার। দিনাজপুর শহরের মুদিপাড়ায় তার জন্ম। আদি পৈতৃক নিবাস ফেনী জেলার ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি।

খালেদা জিয়া পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুরের মিশন স্কুলে ভর্তি হন। এরপর দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। একই বছর জিয়াউর রহমানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর থেকে তিনি খালেদা জিয়া বা বেগম খালেদা জিয়া নামে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি স্বামীর সঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাস শুরুর আগে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের সুরেন্দ্রনাথ কলেজে পড়াশোনা করেন।

১৯৬০ সালের আগস্টে যখন জিয়াউর রহমানের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বিয়ে হয়, তখন জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন ক্যাপ্টেন। ডিএফআইয়ের কর্মকর্তা হিসেবে তখন দিনাজপুরে কর্মরত ছিলেন।

খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসন থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী হন। তার পৈতৃক বাড়ি ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এই আসন থেকে খালেদা জিয়ার পক্ষে সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছিল।

আবদুল্লাহ আল-মামুন/এসআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।