সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে মোট ২৩ বিচারপতিকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি। এই নিয়োগের পর ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর শপথ নেন এই ২৩ অতিরিক্ত বিচারপতি। কিন্তু ১১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) রাষ্ট্রপতি সেই ২৩ জন থেকে ২২ জনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।
একজনের নাম কেন প্রজ্ঞাপনে নেই বিষয়টি স্পষ্ট করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর এই ২২ জনসহ মোট ২৩ বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। পরে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি হয়। ওই অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়।
গণসংযোগ কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর ৯ অক্টোবর এ ২২ জনসহ মোট ২৩ বিচারপতি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তীতে গত ২১ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি হয় এবং এই অধ্যাদেশের বিধান অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল গঠন করা হয়।
২১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়া এই অধ্যাদেশের অধীনে সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগের বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপোয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল এ অধ্যাদেশের ৮ ধারা অনুসরণপূর্বক এ সংক্রান্ত সুপারিশ প্রণয়ন করে।
এ ধারায় অধ্যাদেশটির ধারা ৬(২) এর বিধান আবশ্যিকভাবে অনুসরণের বিধান রয়েছে। এ ধারায় অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে সুপারিশকৃত ব্যক্তির বয়স কোনোক্রমেই ৪৫ এর কম হবে না মর্মে বিধান রয়েছে। ফলে অধ্যাদেশে বর্ণিত বাধ্যবাধকতার কারণে গত বছর ৯ অক্টোবর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করা অন্য বিচারক বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর নাম সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে নেই।
আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি তার বয়স ৪৫ হওয়া সাপেক্ষে কাউন্সিল সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাকে সুপারিশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
এফএইচ/এমআইএইচএস/জিকেএস
এডমিন 















