১২:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঘের তাড়া খেয়ে নদী সাঁতরে লোকালয়ে দুই হরিণ

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 15

সুন্দরবনে বাঘের তাড়া খেয়ে মোংলার পশুর নদী সাঁতরে লোকালয়ে চলে আসা দুটি হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। পরে হরিণ দুটিকে পুনরায় বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সুন্দরবনের করমজলের ঠিক উল্টো দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের মোংলার সিন্ধুরতলা এলাকায় শনিবার সকালে দুটি চিত্রা হরিণ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। চিলা ও বৈদ্যমারী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে অনেক লোকজন দেখে হরিণ দুটি দৌড় শুরু করে। পরে লোকজনের সহায়তায় জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া হরিণ দুটি করমজলের বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হরিণ দুটি চিত্রা মায়া (স্ত্রী/নারী) হরিণ। বয়স ৭-৮ বছর। মূলত বাঘের তাঁড়া খেয়ে সোয়া দুই কিলোমিটার চওড়া পশুর নদী পার হয়ে হরিণ দুটি লোকালয়ে চলে যায়। হরিণ সাধারণত দুই কারণে আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে গিয়ে থাকে, একটি হলো বাঘের তাঁড়া খেয়ে , দ্বিতীয়টি কাটাস মাছি ও দাস মাছির আক্রমণের শিকার হলে। তবে আমি নিশ্চিত এ হরিণ দুটি বাঘের তাঁড়া খেয়েই লোকালয়ে চলে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, লোকালয়ের মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। কারণ আগে হরিণ লোকালয়ে গেলে লোকজন লুকিয়ে ও আটকে রাখার চেষ্টা করতো। কিন্তু এখন তারা আর সেটি করছে না। তাই সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাল থাকবে সুন্দরবন।

আবু হোসাইন সুমন/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

বাঘের তাড়া খেয়ে নদী সাঁতরে লোকালয়ে দুই হরিণ

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

সুন্দরবনে বাঘের তাড়া খেয়ে মোংলার পশুর নদী সাঁতরে লোকালয়ে চলে আসা দুটি হরিণ উদ্ধার করেছে বনবিভাগ। পরে হরিণ দুটিকে পুনরায় বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের (মোংলা) করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সুন্দরবনের করমজলের ঠিক উল্টো দিকে পশুর নদীর পূর্ব পাড়ের মোংলার সিন্ধুরতলা এলাকায় শনিবার সকালে দুটি চিত্রা হরিণ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে তারা আমাদের খবর দিলে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। চিলা ও বৈদ্যমারী এলাকার লোকজন নিয়ে সেখানে গেলে অনেক লোকজন দেখে হরিণ দুটি দৌড় শুরু করে। পরে লোকজনের সহায়তায় জোড়া ব্রিজ এলাকা থেকে হরিণ দুটি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া হরিণ দুটি করমজলের বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, হরিণ দুটি চিত্রা মায়া (স্ত্রী/নারী) হরিণ। বয়স ৭-৮ বছর। মূলত বাঘের তাঁড়া খেয়ে সোয়া দুই কিলোমিটার চওড়া পশুর নদী পার হয়ে হরিণ দুটি লোকালয়ে চলে যায়। হরিণ সাধারণত দুই কারণে আবাসস্থল ছেড়ে লোকালয়ে গিয়ে থাকে, একটি হলো বাঘের তাঁড়া খেয়ে , দ্বিতীয়টি কাটাস মাছি ও দাস মাছির আক্রমণের শিকার হলে। তবে আমি নিশ্চিত এ হরিণ দুটি বাঘের তাঁড়া খেয়েই লোকালয়ে চলে গিয়েছিল।

তিনি বলেন, লোকালয়ের মানুষ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে। কারণ আগে হরিণ লোকালয়ে গেলে লোকজন লুকিয়ে ও আটকে রাখার চেষ্টা করতো। কিন্তু এখন তারা আর সেটি করছে না। তাই সুন্দরবন ও বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ভাল থাকবে সুন্দরবন।

আবু হোসাইন সুমন/এমএন/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।