০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
  • 18

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের ঝুমুর ও মটকা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল কাদের, মিজান মোল্লা, ফরহাদ, শুভ, রাকিব, মো. দিপু, রাফি, রাতুল, শিপু, নাঈম হোসেনসহ ২০ জন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে গেছে। তাকে নোয়াখালীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তারেক ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বুধবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বাস শাহী ও জোনাকী পরিবহনের টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে ঝুমুর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে শাহী কাউন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন তারেক। কথা-কাটাকাটির সময় জোনাকী কাউন্টারের পক্ষে ঘটনাস্থলে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যান জাহাঙ্গীর।

জাহাঙ্গীরের অনুসারী যুবদল কর্মী মিজান মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরসহ তারা ঝুমুর এলাকায় গেলে রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তারেক ও তার কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান। পরে মটকা মসজিদ এলাকায় অবস্থান নিলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।

ঘটনার পর আহতদের সদর হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ূন ও সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন। হুমায়ূন বলেন, জাহাঙ্গীর ও তারেক পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল জানান, আহতদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

কেকে/একিউএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

বাস কাউন্টার দখল নিয়ে যুবদলের দুই পক্ষে সংঘর্ষ, আহত ২০

আপডেট সময়ঃ ১২:০৫:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে বাস কাউন্টার দখলকে কেন্দ্র করে যুবদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের ঝুমুর ও মটকা মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর জেরে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় লোকজন।

সংঘর্ষে আহতরা হলেন মো. জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল কাদের, মিজান মোল্লা, ফরহাদ, শুভ, রাকিব, মো. দিপু, রাফি, রাতুল, শিপু, নাঈম হোসেনসহ ২০ জন। তারা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে জাহাঙ্গীরের মাথা ফেটে গেছে। তাকে নোয়াখালীর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সম্ভাব্য সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী তারেক ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। বুধবার সন্ধ্যার পর চট্টগ্রাম রুটে চলাচলকারী বাস শাহী ও জোনাকী পরিবহনের টিকিট বিক্রিকে কেন্দ্র করে ঝুমুর এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। সেখানে শাহী কাউন্টারের দায়িত্বে রয়েছেন তারেক। কথা-কাটাকাটির সময় জোনাকী কাউন্টারের পক্ষে ঘটনাস্থলে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে যান জাহাঙ্গীর।

জাহাঙ্গীরের অনুসারী যুবদল কর্মী মিজান মোল্লা বলেন, জাহাঙ্গীরসহ তারা ঝুমুর এলাকায় গেলে রাতে সাড়ে ৮টার দিকে তারেক ও তার কর্মী-সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালান। পরে মটকা মসজিদ এলাকায় অবস্থান নিলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ বাঁধে।

ঘটনার পর আহতদের সদর হাসপাতালে দেখতে যান জেলা যুবদলের সভাপতি আবদুল আলীম হুমায়ূন ও সাধারণ সম্পাদক রশিদুল হাসান লিংকন। হুমায়ূন বলেন, জাহাঙ্গীর ও তারেক পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা স্থগিত রয়েছে। এ দুই প্রার্থীর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) অরুপ পাল জানান, আহতদের মধ্যে ১৬ জন হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কোনো পক্ষ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।

কেকে/একিউএফ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।