বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছেন, বিএনপির কাছে সবার উপরে বাংলাদেশ। জনগণই বিএনপির ক্ষমতার উৎস। মুক্তিযুদ্ধ বিএনপির প্রেরণার বাতিঘর। ৯০ ও ২৪ এর গণঅভ্যুত্থান বিএনপির অহংকার। এসব প্রেরণা, চেতনা, অহঙ্কার ও আকাঙ্ক্ষা বুকে ধারণ করেই বিএনপি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অকুতোভয় সৈনিকের মতো এগিয়ে যাবে।

রোববার (২৭ জুলাই) বিকেলে ময়মনসিংহ নগরীর টাউন হল মাঠে বিএনপির জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে ময়মনসিংহ বিভাগীয় গ্রাফিতি অংকন ও গণসংগীত কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রিন্স বলেন, সরকারের উচিত দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা। ফ্যসিবাদের যড়যন্ত্র থাকবেই। ঐক্যবদ্ধভাবে সব যড়যন্ত্র মোকাবিলা করে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করেই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে হবে। বিএনপি হাজারও শহীদের রক্ত ছুয়ে শপথ নিয়ে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বুকে ধারণ করেছে। এই আকাঙ্ক্ষা বিএনপি নস্যাৎ হতে দেবে না।

তিনি বলেন, নির্বাচন যতই বিলম্ব হবে, ফ্যসিবাদ ও আধিপত্যবাদী শক্তি ততই ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করবে। সরকার, রাষ্ট্রীয় শক্তি, রাজনৈতিক দল ও জনগন ঐক্যবদ্ধ থাকলে ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।

ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব রোকনুজ্জামান সরকার ও উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারের সঞ্চালনায় গণসংগীতের ফাঁকে ফাঁকে জুলাই আন্দোলনে ময়মনসিংহের শহীদ সাগরের বাবা আনিসুজ্জামান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল আলম, সহ–সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. ওয়ারেস আলী মামুন, আবু ওয়াহাব আকন্দ, ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্ল,হ, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনোয়রুল হক, সদস্যসচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালী, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলীসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শিল্পীরা জনপ্রিয় গণসংগীত ও দেশাত্মকবোধক গান পরিবেশন করেন। এর আগে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিএনপি নেতারা মহানগরের বিভিন্ন সড়কে বিএনপির গ্রাফিতি অংকন পরিদর্শন করেন।

কামরুজ্জামান মিন্টু/এসএএইচ