০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিচারবহির্ভূত হত্যার লাশের ছবি মিডিয়ায় এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • 0

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিগত জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৬ বছরে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ নিয়ে বলেছেন, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার জনিসহ অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের লাশের ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিগত ১৬ বছরে নির্যাতিত প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিল জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ মেডিকেলের মিল্টন হলে ‘জুলাই চিকিৎসকদের গল্প’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডক্টর’স রেজিস্টেন্স ডে’ উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করে আমাদের জুলাই।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে ডা. রফিক বলেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে এক ভয়ংকর খুনি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন এক বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনচেতা প্রতিটা মানুষের ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে খুনি হাসিনার পতনের পর।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এই সরকারের দমন-নির্যাতনে খুন হয়েছে হাজারো কর্মী, গুম হয়েছেন ৬০০-র বেশি নেতা-কর্মী। লক্ষাধিক মামলা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে ফেরারি জীবন বেছে নিয়েছেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। তাদের আত্মত্যাগই প্রস্তুত করেছে এই জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সেই ধারাবাহিকতায় আবু সাইদ-ওয়াসিম-মুগ্ধদের আত্মত্যাগে নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা।

বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক বলেন, ফ্যাসিবাদী পুলিশ ও ডিবির হাতে আটক হওয়ার পূর্বে যখন আমরা শুনতে পাই স্বাচিপের চিকিৎসকরা আহতদের চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করছে তখন এই খবরও পাই স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজেদের জীবন বাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়েছেন দেশপ্রেমিক চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। চিকিৎসকরা একইসঙ্গে রাজপথ ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে ইতিহাসে।

এসময় তিনি জুলাই আন্দোলনে শহীদ দুই চিকিৎসক ডা. সজীব সরকার ও ডা. কবিরুল ইসলাম আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং জুলাই আন্দোলনে জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মো. কবিরুল ইসলামের সহধর্মিণী শামসুন নাহার শেলী ও শহীদ ডা. সজীব সরকারের বাবা হালিম সরকার বকুল।

জুলাই চিকিৎসক সমাবেশের সংগঠক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমইউর ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ অতিথি আলোচক ছিলেন জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম। এসময় জুলাই যোদ্ধা ডা. জাহিদুল কবির, ডা সাকলায়েন, ডা. সায়েম মনসুর আল ফায়েজি, ডা. মাহমুদুর রহমান নোমান, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সমী আল হাসান ইমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ চিকিৎসক পরিবারের দুই সদস্য ও জুলাই আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

কেএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

বিচারবহির্ভূত হত্যার লাশের ছবি মিডিয়ায় এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে

বিচারবহির্ভূত হত্যার লাশের ছবি মিডিয়ায় এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে

আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বিগত জুলাই আন্দোলনসহ গত ১৬ বছরে জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের অংশগ্রহণ নিয়ে বলেছেন, ক্রসফায়ারের মাধ্যমে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার জনিসহ অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের লাশের ছবি আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে এসেছে চিকিৎসকদের কল্যাণে।

তিনি বলেন, বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন সংগ্রামে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রতিটি অনুষ্ঠানে চিকিৎসকদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিগত ১৬ বছরে নির্যাতিত প্রতিটি বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশে ছিল জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ।

শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ মেডিকেলের মিল্টন হলে ‘জুলাই চিকিৎসকদের গল্প’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ডক্টর’স রেজিস্টেন্স ডে’ উপলক্ষে এ সভা আয়োজন করে আমাদের জুলাই।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানসহ বিগত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে ডা. রফিক বলেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে এক ভয়ংকর খুনি ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারের পতনের পর নতুন এক বাংলাদেশের সূচনা হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থানের মাধ্যমে। ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে দলমত নির্বিশেষে স্বাধীনচেতা প্রতিটা মানুষের ১৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে খুনি হাসিনার পতনের পর।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট এই সরকারের দমন-নির্যাতনে খুন হয়েছে হাজারো কর্মী, গুম হয়েছেন ৬০০-র বেশি নেতা-কর্মী। লক্ষাধিক মামলা নিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ছেড়ে ফেরারি জীবন বেছে নিয়েছেন লাখ লাখ নেতা-কর্মী। তাদের আত্মত্যাগই প্রস্তুত করেছে এই জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপট, সেই ধারাবাহিকতায় আবু সাইদ-ওয়াসিম-মুগ্ধদের আত্মত্যাগে নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি আমরা।

বিএনপির স্বাস্থ্য সম্পাদক বলেন, ফ্যাসিবাদী পুলিশ ও ডিবির হাতে আটক হওয়ার পূর্বে যখন আমরা শুনতে পাই স্বাচিপের চিকিৎসকরা আহতদের চিকিৎসা দিতে গড়িমসি করছে তখন এই খবরও পাই স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে নিজেদের জীবন বাজি রেখে আহতদের সেবা দিয়েছেন দেশপ্রেমিক চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। চিকিৎসকরা একইসঙ্গে রাজপথ ও হাসপাতালে জুলাই আন্দোলনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকবে ইতিহাসে।

এসময় তিনি জুলাই আন্দোলনে শহীদ দুই চিকিৎসক ডা. সজীব সরকার ও ডা. কবিরুল ইসলাম আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং জুলাই আন্দোলনে জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে দাঁড়ানোর জন্য চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানান।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ডা. মো. কবিরুল ইসলামের সহধর্মিণী শামসুন নাহার শেলী ও শহীদ ডা. সজীব সরকারের বাবা হালিম সরকার বকুল।

জুলাই চিকিৎসক সমাবেশের সংগঠক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মাদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএমইউর ডেন্টাল অনুষদের ডিন ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ অতিথি আলোচক ছিলেন জুলাই যোদ্ধাদের চিকিৎসক ডা. মো. আশরাফুল ইসলাম। এসময় জুলাই যোদ্ধা ডা. জাহিদুল কবির, ডা সাকলায়েন, ডা. সায়েম মনসুর আল ফায়েজি, ডা. মাহমুদুর রহমান নোমান, ডা. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডা. সমী আল হাসান ইমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানের শেষে শহীদ চিকিৎসক পরিবারের দুই সদস্য ও জুলাই আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা।

কেএইচ/এমকেআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।