১১:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের দ্রুততম রিবার রোলিং মিল চালু আবুল খায়ের স্টিলের

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
  • 8

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেড (একেএস) বিশ্বের দ্রুততম রিবার রোলিং মিলের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রুপের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল শেখ শাদাব আহমেদ এ তথ্য জানান।

জার্মানির শীর্ষ শিল্পপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এসএমএস গ্রুপের সরবরাহকৃত এ অত্যাধুনিক মিলটি তৈরি করেছে। নতুন মিলটি বছরে ১৬ লাখ টন বিকৃত রড বা ডিফর্মড বার উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতের চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে আবুল খায়ের গ্রুপ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আবুল খায়ের জানায়, নতুন রিবার মিলটি ৮ থেকে ৪০ মিলিমিটার ব্যাসের বিকৃত রড উৎপাদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। মিলটি চালুর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫২.৫ মিটার উৎপাদন গতিতে রেকর্ড গড়ে, পরে ৫৫.০৪ মিটার প্রতি সেকেন্ডে পৌঁছায়। যা বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতি হিসেবে বিবেচিত। বিএসএমএস গ্রুপ মিলটিতে সর্বাধুনিক টেকসই প্রযুক্তি যুক্ত করেছে।

এরমধ্যে রয়েছে ইকো ফ্লেইম ও বার্নার। যা নিম্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন নিশ্চিত করে এবং রিহিটিং ফার্নেসে জ্বালানি খরচ ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমায়। পাশাপাশি ইলদোরাম ইনডাকশন ফার্নেস যুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে ল বিলেটের তাপ দক্ষতা সর্বোচ্চ রাখতে। যা শক্তি সাশ্রয় ও উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবুল খায়ের স্টিল তার পুঁজি ব্যয় ও চলতি ব্যয় উভয় উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছে, ফলে উৎপাদন আরও প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ বিনিয়োগ বাংলাদেশের নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এটি পরিবেশবান্ধব উৎপাদনপ্রক্রিয়া গ্রহণে আবুল খায়ের স্টিলের অঙ্গীকারেরও প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।

আবুল খায়ের স্টিল বা একেএসের কারখানায় রড উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে ইস্পাত ছাড়াও সিমেন্ট, শিপিং, সিরামিকসহ বিভিন্ন খাতে ৪০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপের। এসব কারখানায় ৫৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।

এসএম/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

সজলকে ধরে রাখে রনি, পরে গুলির শব্দ পাই

বিশ্বের দ্রুততম রিবার রোলিং মিল চালু আবুল খায়ের স্টিলের

আপডেট সময়ঃ ১২:০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে আবুল খায়ের স্টিল লিমিটেড (একেএস) বিশ্বের দ্রুততম রিবার রোলিং মিলের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে।

মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে গ্রুপের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড লিগ্যাল শেখ শাদাব আহমেদ এ তথ্য জানান।

জার্মানির শীর্ষ শিল্পপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এসএমএস গ্রুপের সরবরাহকৃত এ অত্যাধুনিক মিলটি তৈরি করেছে। নতুন মিলটি বছরে ১৬ লাখ টন বিকৃত রড বা ডিফর্মড বার উৎপাদনের সক্ষমতা রাখে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল নির্মাণ ও অবকাঠামো খাতের চাহিদা পূরণে বড় ভূমিকা রাখবে আবুল খায়ের গ্রুপ।

এক বিজ্ঞপ্তিতে আবুল খায়ের জানায়, নতুন রিবার মিলটি ৮ থেকে ৪০ মিলিমিটার ব্যাসের বিকৃত রড উৎপাদনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। মিলটি চালুর প্রাথমিক পর্যায়ে প্রতি সেকেন্ডে ৫২.৫ মিটার উৎপাদন গতিতে রেকর্ড গড়ে, পরে ৫৫.০৪ মিটার প্রতি সেকেন্ডে পৌঁছায়। যা বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ গতি হিসেবে বিবেচিত। বিএসএমএস গ্রুপ মিলটিতে সর্বাধুনিক টেকসই প্রযুক্তি যুক্ত করেছে।

এরমধ্যে রয়েছে ইকো ফ্লেইম ও বার্নার। যা নিম্ন নাইট্রোজেন অক্সাইড নির্গমন নিশ্চিত করে এবং রিহিটিং ফার্নেসে জ্বালানি খরচ ও জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমায়। পাশাপাশি ইলদোরাম ইনডাকশন ফার্নেস যুক্ত করা হয়েছে। যার কারণে ল বিলেটের তাপ দক্ষতা সর্বোচ্চ রাখতে। যা শক্তি সাশ্রয় ও উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধি করে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আবুল খায়ের স্টিল তার পুঁজি ব্যয় ও চলতি ব্যয় উভয় উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়েছে, ফলে উৎপাদন আরও প্রতিযোগিতামূলক ও টেকসই হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ বিনিয়োগ বাংলাদেশের নির্মাণ ও অবকাঠামো উন্নয়নে নতুন গতি আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে এটি পরিবেশবান্ধব উৎপাদনপ্রক্রিয়া গ্রহণে আবুল খায়ের স্টিলের অঙ্গীকারেরও প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।

আবুল খায়ের স্টিল বা একেএসের কারখানায় রড উৎপাদন শুরু হয় ২০০৯ সালে। বর্তমানে ইস্পাত ছাড়াও সিমেন্ট, শিপিং, সিরামিকসহ বিভিন্ন খাতে ৪০টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে আবুল খায়ের গ্রুপের। এসব কারখানায় ৫৫ হাজার কর্মী কাজ করেন।

এসএম/আরএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।