ভারতীয় হাইকমিশনারের বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ের ওপর হস্তক্ষেপের প্রচেষ্টায় সার্বভৌমত্বের ওপর সরাসরি হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘আজাদী’ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় ‘আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন প্রাঙ্গণ থেকে তারা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে যেয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে শেষ হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ভারত না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘প্রণয় ভার্মার দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে’, ‘আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’সহ নানা স্লোগান দেয়।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ ‘দ্যা ডেল্টাগ্রাম’- নামক একটি অনুসন্ধানী সংবাদ মাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদকে উল্লেখ করে বলেন, ভারতের নিযুক্ত হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা জুলাই বিপ্লবের সময় ‘কসাই হাসিনা’ ও ‘কসাই কামাল’-এর চালানো বর্বর গণহত্যার নীলনকশা তৈরিতে দফায় দফায় যোগাযোগ করেছেন। প্রণয় ভার্মার নির্দেশে, সমর্থনে, সহযোগিতায় খুনি হাসিনা বাংলাদেশের ওপরে ইতিহাসের সব থেকে বর্বর গণহত্যা চালায়।
তিনি দাবি করেন, ভার্মার এই আচরণ কূটনৈতিক নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তার বাংলাদেশে কূটনীতিক হিসেবে নিযুক্ত থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই।
তিনি বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান করে বলেন, কালবিলম্ব না করে প্রণয় ভার্মাকে তলব করে তাকে পার্সোনা নন গ্রাটা ঘোষণা করতে হবে এবং বাংলাদেশ থেকে ফেরত পাঠাতে হবে।
এ সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুনি হাসিনাসহ ভারতে অবস্থানরত সংশ্লিষ্টদের ফেরাতে দ্রুত আন্তর্জাতিক উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।
এফএআর/এএমএ
এডমিন 












