০৭:০৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মনোরেল চালু হলে নগরবাসী আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে: চসিক মেয়র

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • 7

চট্টগ্রাম নগরে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রেস্টহাউস প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম কন্সট্রাকশন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প সমন্বয়ক আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

সভায় জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে নগরের চারটি রুটে মনোরেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-

কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে) ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

এবং সিটি গেট থেকে পোর্ট কানেক্টিং রোড হয়ে নিমতলা পর্যন্ত ১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রকল্প প্রতিনিধিদল জানায়, ওরাসকম কন্সট্রাকশন কোম্পানি পিপিওটি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করে পরে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করবে। প্রকল্পে সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫০ একর জমি প্রয়োজন হবে। প্রতিদিন মনোরেল চালাতে লাগবে ৩০-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হতে সময় লাগবে ৭-৮ মাস এবং নির্মাণ সম্পন্ন হতে ৩ থেকে ৪ বছর।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা সময়ের দাবি। মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে। এতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরে সিটি করপোরেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

এমআরএএইচ/এএমএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

মনোরেল চালু হলে নগরবাসী আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে: চসিক মেয়র

আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে।

শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন রেস্টহাউস প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। এতে উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর চট্টগ্রাম ইকোনমিক ফোরামের প্রেসিডেন্ট আমীর হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী, মনোরেল প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর ফয়সাল রহমান, আরব কন্ট্রাক্টরস ও ওরাসকম কন্সট্রাকশন কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর কাউসার আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরামর্শক কামরান আনোয়ার নাগিভ এবং চসিকের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও প্রকল্প সমন্বয়ক আবু সাদাত মো. তৈয়ব।

সভায় জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে নগরের চারটি রুটে মনোরেল চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে-

কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত (বহদ্দারহাট, চকবাজার, লালখান বাজার, দেওয়ানহাট ও পতেঙ্গা হয়ে) ২৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

সিটি গেট থেকে শহীদ বশিরুজ্জামান চত্বর পর্যন্ত (এ কে খান, নিমতলী, সদরঘাট ও ফিরিঙ্গি বাজার হয়ে) ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গি বাজার পর্যন্ত (মুরাদপুর, পাঁচলাইশ, আন্দরকিল্লা ও কোতোয়ালি হয়ে) ১৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার,

এবং সিটি গেট থেকে পোর্ট কানেক্টিং রোড হয়ে নিমতলা পর্যন্ত ১০ দশমিক ৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে।

প্রকল্প প্রতিনিধিদল জানায়, ওরাসকম কন্সট্রাকশন কোম্পানি পিপিওটি পদ্ধতিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে মোট ব্যয় হবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটি প্রাথমিকভাবে ২০ থেকে ২৫ বছর নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরিচালনা করে পরে সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করবে। প্রকল্পে সেন্ট্রাল স্টেশন, স্টোরেজ ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৫০ একর জমি প্রয়োজন হবে। প্রতিদিন মনোরেল চালাতে লাগবে ৩০-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষ হতে সময় লাগবে ৭-৮ মাস এবং নির্মাণ সম্পন্ন হতে ৩ থেকে ৪ বছর।

চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের জনসংখ্যা ও যানজট বিবেচনায় আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা সময়ের দাবি। মনোরেল প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে নগরবাসী নিরাপদ, সময়নিষ্ঠ ও আরামদায়ক যাতায়াতের সুযোগ পাবে। এতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে, যানজট কমবে এবং নগর অর্থনীতি হবে আরও গতিশীল।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামকে স্মার্ট ও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরে সিটি করপোরেশন প্রকল্প বাস্তবায়নে সব ধরনের সহযোগিতা করছে।

এমআরএএইচ/এএমএ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।