বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বেড়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতীরবর্তী কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। দুর্ভোগে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
শনিবার (২৫ জুলাই) বিকেলে নদীতে পানির উচ্চতা বাড়তে শুরু করে। নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। বসতবাড়ি ও সড়কে পানি উঠে গেছে। কারও কারও ঘরের ভেতরেও পানি ঢুকেছে। তবে সন্ধ্যার দিকে নেমে যেতে থাকে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত তিনদিন ধরে এ অবস্থা চলছে।
সরেজমিনে কমলনগরে মধ্য ও পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে। নিচু এলাকাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। অনেকের মাছের ঘের ও ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
তোরাবগঞ্জ এলাকার কামাল হোসেন জানান, জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘরে পানি ওঠায় তাদের ঘরে চুলা জ্বলছে না। গবাদি পশুগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। মাঠে থাকা আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার ১০০ কোটি টাকার বরাদ্ধ দেয়। চলতি বছর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কয়েক কিলোমিটার বাঁধের কাজ এখনো ধরা হয়নি। পুরো কাজ ধীরগতিতে চলছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ জামান খান বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি। নদীর তীর রক্ষা বাঁধের কাজ পেয়ে ধীরগতিতে কাজ করা ঠিকাদারদের আটটি কাজ বাতিল করা হয়েছে। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। বাঁধের ৪০ ভাগেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে।
কাজল কায়েস/এমকেআর