০৫:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রাষ্ট্র শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেয় না বলেই শিক্ষকদের মর্যাদা কম

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:১২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫
  • 11

রাষ্ট্র শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় বাংলাদেশে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা কম বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক সময়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে শুধুমাত্র শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশে শিক্ষকদের মর্যাদাও কম।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর নতুন পরিচালনা পর্ষদে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারের এক সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এডুকেশন রিফরম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা দিয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। ফলে দেশেরও উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবার আগে শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ করা প্রয়োজন, যা এখন আছে জিডিপির ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন
শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব, বছরে লাগবে ৩৪০০ কোটি টাকা
শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হলে কথায় চিড়া ভিজবে না, বেতনও বাড়াতে হবে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকদের গবেষণা কাজে আগ্রহী করতে প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির শিক্ষকদের কাছে গবেষণার আগ্রহপত্র চাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতক, স্নাতক-সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির সিলেবাস সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্নাতক-সম্মানে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরআই চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ড. সদরুদ্দিন আহমদ, অধ্যক্ষ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজহারুল হান্নান এবং শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামশেদ আলম।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকরা এ সেমিনারে অংশ নেন। তারা শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য ও অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে, তা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এএএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

রাষ্ট্র শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দেয় না বলেই শিক্ষকদের মর্যাদা কম

আপডেট সময়ঃ ১২:১২:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫

রাষ্ট্র শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় বাংলাদেশে শিক্ষকদের মান-মর্যাদা কম বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক সময়ে স্বাধীনতা অর্জনকারী দেশগুলো বাংলাদেশের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে শুধুমাত্র শিক্ষাখাতে গুরুত্ব দিয়ে, শিক্ষাখাতে বিনিয়োগ করে। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র শিক্ষাখাতকে গুরুত্ব না দেওয়ায় দেশে শিক্ষকদের মর্যাদাও কম।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ অবস্থার পরিবর্তন করতে চায়। এরই মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর নতুন পরিচালনা পর্ষদে শিক্ষকদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।

সোমবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর মগবাজারের এক সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব শিক্ষক দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এডুকেশন রিফরম ইনিশিয়েটিভ (ইআরআই) এই সেমিনারের আয়োজন করে।

অধ্যাপক আমানুল্লাহ বলেন, বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও জাতীয় বাজেটে শিক্ষাখাতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা দিয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন সম্ভব নয়। ফলে দেশেরও উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সবার আগে শিক্ষাখাতে জিডিপির অন্তত পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ করা প্রয়োজন, যা এখন আছে জিডিপির ১ দশমিক ৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন
শিক্ষকদের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়ার প্রস্তাব, বছরে লাগবে ৩৪০০ কোটি টাকা
শিক্ষকের মর্যাদা দিতে হলে কথায় চিড়া ভিজবে না, বেতনও বাড়াতে হবে

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, কলেজগুলোতে গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা ও শিক্ষকদের গবেষণা কাজে আগ্রহী করতে প্রণোদনা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিগগির শিক্ষকদের কাছে গবেষণার আগ্রহপত্র চাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থীদের দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে স্নাতক, স্নাতক-সম্মান ও স্নাতকোত্তর শ্রেণির সিলেবাস সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ এবং স্নাতক-সম্মানে আইসিটি ও ইংরেজি বিষয় বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ইআরআই চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ কে এম ইলিয়াস, সরকারি তিতুমীর কলেজের অধ্যক্ষ ড. সদরুদ্দিন আহমদ, অধ্যক্ষ পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাজহারুল হান্নান এবং শের-ই বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জামশেদ আলম।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের প্রাথমিক, মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষকরা এ সেমিনারে অংশ নেন। তারা শিক্ষাব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য ও অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে, তা দূর করতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এএএইচ/কেএসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।