০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৬, ১৭ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 0

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিন শেষ রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতি মতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।

গত ১১ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব মতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ ডলার। তার আগের দিন বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের রিজার্ভ এখন প্রায় ৩৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি মতে বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, ৯ নভেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আরও আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল- যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালে পুরো সময় জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।

তবে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এই সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।

ইএআর/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়ালো

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৩:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বেড়েছে। বর্তমানে রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) দিন শেষ রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।

এর আগে, গত ১৭ ডিসেম্বর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ বা রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতি মতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার।

গত ১১ ডিসেম্বর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর আইএমএফের নির্ধারিত বিপিএম-৬ পদ্ধতির হিসাব মতে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ ডলার। তার আগের দিন বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে হিসাব করলে রিজার্ভ ছিল ২৭ দশমিক ২২ বিলিয়ন ডলার।

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, দেশের রিজার্ভ এখন প্রায় ৩৩ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ হিসাব পদ্ধতি মতে বর্তমানে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৮ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলার।

এর আগে, ৯ নভেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। আরও আগে, ৬ নভেম্বর রিজার্ভ ছিল ৩২ দশমিক ৭১ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে তা ছিল ২৮ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাইয়ে মে-জুন মেয়াদের আমদানি ব্যয়ের বিপরীতে বাংলাদেশ আকুকে ১ দশমিক ৯৬ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছিল- যা ছিল সর্বশেষ বড় অঙ্কের বিল। এরপর ২০২৩ সালে পুরো সময় জুড়ে দ্বিমাসিক আকু বিল কমে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে ছিল।

তবে, ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর-অক্টোবর থেকে আকু বিল আবার বাড়তে শুরু করে। চলতি বছরের মে-জুনে বিলের পরিমাণ পৌঁছে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারে, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন (ইউএনইএসক্যাপ) আকু প্রতিষ্ঠা করে। ইরানের তেহরানভিত্তিক এই সংস্থার মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান, ইরান, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা- মোট ৯টি দেশের আঞ্চলিক লেনদেন নিষ্পত্তি করা হয়।

ইএআর/এএমএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।