০৮:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • 14

জুলাই আন্দোলনের সময় শাহবাগে জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসে হাজির করা হয়। এসময় লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতের দিকে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। এরপর তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, এই আসামি কামরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় মদদে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছেন। তিনি খাদ্যমন্ত্রীর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ তিনি জুট ব্যবসায়ী মনির হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাকে রিমান্ডে নিলে অন্যান্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব আহমেদ বলেন, মামলার ঘটনাস্থল শাহবাগ থানাধীন চাঁনখারপুল এলাকা। তিনি এই এলাকার সংসদ সদস্যও নন, বাসিন্দাও নন। তিনি স্টোমাক ক্যানসারে আক্রান্ত। লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে এসেছেন। তিনি অসুস্থ মানুষ। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ দেন, তবুও রিমান্ড দেবেন না।

আরও পড়ুন:
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম

এদিন কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এমআইএন/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জুলাই আন্দোলনের সময় শাহবাগে জুট ব্যবসায়ী মো. মনির হত্যা মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তাকে ঢাকার সিএমএম আদালত থেকে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় এজলাসে হাজির করা হয়। এসময় লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতের দিকে হাঁটতে দেখা যায় তাকে। এরপর তাকে আদালতের কাঠগড়ায় রাখা হয়।

রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন বলেন, এই আসামি কামরুল ইসলাম রাষ্ট্রীয় মদদে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের গুম-খুন করেছেন। তিনি খাদ্যমন্ত্রীর আগে আইন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন৷ তিনি জুট ব্যবসায়ী মনির হত্যার সঙ্গে জড়িত। তাকে রিমান্ডে নিলে অন্যান্য আসামিদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যাবে।

এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী আফতাব আহমেদ বলেন, মামলার ঘটনাস্থল শাহবাগ থানাধীন চাঁনখারপুল এলাকা। তিনি এই এলাকার সংসদ সদস্যও নন, বাসিন্দাও নন। তিনি স্টোমাক ক্যানসারে আক্রান্ত। লাঠিতে ভর দিয়ে আদালতে এসেছেন। তিনি অসুস্থ মানুষ। প্রয়োজনে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ দেন, তবুও রিমান্ড দেবেন না।

আরও পড়ুন:
৫ দিনের রিমান্ডে সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলাম

এদিন কামরুল ইসলামকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাইনুল ইসলাম খান পুলক ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তার ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

গত বছরের ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এরপর থেকে কয়েক দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে আছেন তিনি।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চাঁনখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ক্ষুদ্র জুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোজিনা আক্তার গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় ৩৫১ জনকে এজাহারনামীয় ও ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়। কামরুল ইসলাম এ মামলার ৭ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এমআইএন/এসএনআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।