এক শিশুকে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে যুবদলের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আবুল বাশার গাজী (৩৩) নামে ওই যুবদল নেতা ১৩ বছর বয়সি শিশুটিকে দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ধর্ষণ করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
গ্রেফতার আবুল বাশার ওই এলাকার আবুল কালামের ছেলে ও নবাবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ৬ বছর যাবৎ বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে আবুল বাশার গাজী তার দোকানে ওই শিশুকে ক্রমাগত ধর্ষণ করে আসছেন। সম্প্রতি ওই শিশুকে নানাভাবে ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে সুলতানপুর গ্রামের গেদু মিয়া নামে আরেকজনকে দিয়েও তাকে ধর্ষণ করানো হয়। ওই ধর্ষণের সময় ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে গেদু মিয়া থেকে দুই দফায় ১৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করে আবুল বাশার গাজী। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে তোলপাড় শুরু হয়। সর্বশেষ শিশুর মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার গাজীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলায় বৃদ্ধ গেদু মিয়াকেও আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয় যুবদল নেতা সোহাগ জানান, গাজী দীর্ঘদিন যাবৎ নিজ দোকানের শাটার বন্ধ করে এসব অপরাধ করে যাচ্ছে। তার কারণে দলের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উপজেলা যুবদলের সদস্যসচিব ইমাম হোসেন পবির বলেন, আবুল বাশার গাজী বর্তমানে দলের কোনো পদে নেই। সে যা করেছে, সেটা তার ব্যক্তিগত অপরাধ।
সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ১৩ বছর বয়সি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।
আবদুল্লাহ আল-মামুন/এমএন/এএসএম
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 








