প্রতিদিন, প্রতি বেলায় রং বদলাচ্ছে বিসিবি নির্বাচনের। সোমবার মধ্যরাত অবধি ছিল একরূপ। আজ দুপুরে ফারুক আহমেদ রিট দায়ের করার পর মুহূর্ত থেকেই তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থি প্যানেলে ব্যাপক টানা-পোড়েন।
১৫ ক্লাবের কাউন্সিলরই নেই। সাথে চার-চারজন প্রার্থীরও নির্বাচন করা হচ্ছে না। রীতিমত একটা টালমাটাল অবস্থা। এই অবস্থায় খানিক কিংকর্তব্যবিমুঢ় তামিম এন্ড কোং।
বলার অপেক্ষা রাখে না, যে ১৫ ক্লাবের ওপর আবার কোর্টের নিষেধাজ্ঞা এসেছে, তার সবকটাই বিএনপিপন্থি কাউন্সিলরদের কাউন্সিলর। খুব স্বাভাবিকভাবেই ১৫টি নিশ্চিত ভোট হাতছাড়া হয়ে যাবে তামিমের নেতৃত্বাধীন বিএনপিপন্থি প্যানেলের। এছাড়া শেষমুহূর্তে অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিয়ে সাজানো ১২ জনের প্যানেল থেকেও নির্বাচন করতে পারবেন না চার জন প্রার্থী। এতে করে শক্তি কমে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে অনেকটাই। এরকম অবস্থায় নির্বাচন করাকে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবতে শুরু করেছেন কেউ কেউ।
জানা গেছে, বিএনপিপন্থিদের মধ্যে কেউ কেউ নির্বাচন না করার কথা ভাবছেন। এর মধ্যে মোহামেডানের কাউন্সিলর মাসুদুজ্জামান আছেন। মঙ্গলবার রাতে জাগো নিউজের সাথে আলাপে মাসুদুজ্জামান জানান, ‘এমন অবস্থায় নির্বাচন করবো কি করবো না, ভাবছি। আমি কোনো আলাপ-আলোচনার মধ্যে নেই। তবে মনে মনে সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছি নির্বাচন না করার। তারপর অবস্থ বুঝে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবো।’
এর বাইরে আরও ৪/৫ জন প্রার্থীও শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নাও করতে পারেন বলে কথাও শোনা যাচ্ছে। সেই তালিকায় আর কেউ থাকলেও বসুন্ধরা গ্রুপ তথা টি-স্পোর্টসের ইশতিয়াক সাদেক ও শানিয়ান তানিম থাকবেন না বলে শোনা যাচ্ছে। তারা দু’জন নাকি নির্বাচন করার পক্ষে।
না করার দলে আসলে তামিম ইকবাল, ফাহিম সিনহাসহ আরও কয়েকজনের নামই শোনা যাচ্ছে। তবে নির্বাচন করা না করা নিয়ে আজ মঙ্গলবার রাতে এক গুরুত্বপূর্ণ সভায় বসার কথা তামিম গ্রুপের। সেখানে সম্ভাব্য সব কাউন্সিলরের মতামত নেয়া হবে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কে কে নির্বাচন বয়কট করেন?
এআরবি/আইএইচএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 








