০২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সপ্তাহে ৫ হাজার টাকার কিস্তি, রাজশাহীতে গলায় ফাঁস নিলেন আরেক কৃষক

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫
  • 113

রাজশাহীর মোহনপুরে ঋণের চাপে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে নিজের পান বরজে তার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই কৃষকের নাম আকবর হোসেন (৫০)। তিনি উপজেলার খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, আকবর পান চাষ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু এ বছর পান বিক্রি করে আয় হয়নি। বাজারে দাম পড়ে গেছে। অথচ ১১টি এনজিও ও স্থানীয় সুদি কারবারিদের কাছ থেকে তার ঋণ নেওয়া ছিল। প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

আকবর হোসেনের ছেলে সুজন শাহ বলেন, ‌‘বাবা অন্তত চার লাখ টাকা এনজিও থেকে নিয়েছিলেন। আরও ছিল সুদের বোঝা। প্রতি সপ্তাহেই পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু এবার পানের কোনো দাম নেই। এক বিঘা জমির পান বরজের আয়ে সংসার চলতো। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে চাপ দিতো, কিস্তির টাকা চাইতো। বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ঋণের চাপে বাবাকে মরতে হলো।’

ওসি আতাউর রহমান বলেন, আকবর হোসেন কৃষক মানুষ ছিলেন। এ বছর পান চাষে লোকসান হয়েছে। ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে জেলার পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন মিনারুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

সপ্তাহে ৫ হাজার টাকার কিস্তি, রাজশাহীতে গলায় ফাঁস নিলেন আরেক কৃষক

আপডেট সময়ঃ ১২:০৮:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫

রাজশাহীর মোহনপুরে ঋণের চাপে এক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করা হয়েছে। সোমবার (১৮ আগস্ট) ভোরে নিজের পান বরজে তার গলায় ফাঁস দেওয়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওই কৃষকের নাম আকবর হোসেন (৫০)। তিনি উপজেলার খাড়ইল গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে।

মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, আকবর পান চাষ করে সংসার চালাতেন। কিন্তু এ বছর পান বিক্রি করে আয় হয়নি। বাজারে দাম পড়ে গেছে। অথচ ১১টি এনজিও ও স্থানীয় সুদি কারবারিদের কাছ থেকে তার ঋণ নেওয়া ছিল। প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

আকবর হোসেনের ছেলে সুজন শাহ বলেন, ‌‘বাবা অন্তত চার লাখ টাকা এনজিও থেকে নিয়েছিলেন। আরও ছিল সুদের বোঝা। প্রতি সপ্তাহেই পাঁচ হাজার টাকা কিস্তি দিতে হতো। কিন্তু এবার পানের কোনো দাম নেই। এক বিঘা জমির পান বরজের আয়ে সংসার চলতো। এনজিওর লোকেরা প্রতিদিন এসে চাপ দিতো, কিস্তির টাকা চাইতো। বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত ঋণের চাপে বাবাকে মরতে হলো।’

ওসি আতাউর রহমান বলেন, আকবর হোসেন কৃষক মানুষ ছিলেন। এ বছর পান চাষে লোকসান হয়েছে। ঋণের কিস্তি দিতে না পেরে হতাশা থেকেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে জেলার পবা উপজেলার বামনশিকড় গ্রামে ‘ঋণের চাপ ও খাবারের অভাবে’ স্ত্রী ও দুই সন্তানকে হত্যার পর আত্মহত্যা করেন মিনারুল নামের এক ব্যক্তি। তিনি পেশায় কৃষক ছিলেন।

সাখাওয়াত হোসেন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।