ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ অংশে প্রায় সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে তীব্র যানজটের পর অবশেষে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। বুধবার (৮ অক্টোবর) দুপুর ১টা থেকে শুরু হওয়া এই যানজট রাত সাড়ে ৯টার পর নিয়ন্ত্রণে আসে। দীর্ঘ এই যানজটে যাত্রী ও চালকদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এর আগে মহাসড়কের কাঁচপুর থেকে সাওঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে থেমে থেমে যানজট সৃষ্টি হয়েছিল।
হাইওয়ে পুলিশ, যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত সড়ক উন্নীতকরণ কাজ চলমান থাকা, সড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দ ও গর্ত তৈরি হওয়া এবং যানবাহনের চাপ বৃদ্ধির কারণেই এই অচলাবস্থা। দুপুর ১টার দিকে যানজট শুরু হলেও বিকেলে তা ৭ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পরে কাঁচপুর-বরাবো অংশে কিছুটা কমলেও উপজেলার সাওঘাট থেকে বরপা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। রাত সাড়ে ৯টার পরে হাইওয়ে পুলিশের প্রচেষ্টায় যানজট পরিস্থিতির উন্নতি হতে শুরু করে।
বাস যাত্রী ইস্কান্দার মিয়া বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুলতা গাউছিয়া এলাকা থেকে জ্যামে আটকা পড়ি। এক ঘণ্টা লেগেছে রুপসি আসতে। বাকি পথ কখন পাড় হবো জানি না।
লেগুনা চালক আব্দুল খালেক জানান, যে সময়ে তিনি ৬-৭টি ট্রিপ মারতে পারতেন, যানজট ঠেলে সেই সময়ের মধ্যে ৫টি ট্রিপও দিতে পারেননি।
আরেক যাত্রী রোকন মিয়া জানান, রাত ৮টায় সায়দাবাদ থেকে রওনা দিয়ে দেড় ঘণ্টা পর (রাত সাড়ে ৯টায়) গাউছিয়া এসেছেন, যা স্বাভাবিক সময়ে মাত্র ২০ মিনিটের পথ।
শিমরাইল হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পরিদর্শক জুলহাস উদ্দিন জাগো নিউজকে বলেন, খানাখন্দে রাস্তার বেহাল অবস্থা। আবার আগে যাওয়ার জন্য নিয়ম ভেঙে চালকরা বিপরীত রুটে গাড়ি ঢুকিয়ে একাধিক লাইন করার কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
ভুলতা হাইওয়ে পুলিশ পরিদর্শক মুফাখখির উদ্দিন বলেন, সন্ধ্যায় আউখাব গার্মেন্ট এলাকায় গাড়ি আটকে পোশাক শ্রমিক পারাপারের সময় যানজট সৃষ্টি হয় এবং তা বিস্তৃত হতে থাকে। তবে পুলিশের একান্ত প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
নাজমুল হুদা/কেএইচকে/জিকেএস
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন jagofeature@gmail.com ঠিকানায়।
এডমিন 













