হাঁটুর চোটের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগ (বিবিএল) শেষ হয়ে গেল পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদির। ব্রিসবেন হিটের হয়ে বিগব্যাশে খেলছিলেন তিনি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তাকে অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে। আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দ্রুত পুনর্বাসন শুরু করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড।
ব্রিসবেন হিট এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দলের সঙ্গে অ্যাডিলেড সফর শেষে আফ্রিদির শারীরিক অবস্থা পুনরায় মূল্যায়ন করা হবে। বুধবার অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারেন বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় আফ্রিদি লেখেন, ‘ব্রিসবেন হিট দল ও সমর্থকদের ভালোবাসা ও সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। হঠাৎ পাওয়া এক চোটের কারণে পিসিবি আমাকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আশা করি দ্রুতই আবার মাঠে ফিরতে পারব। ততদিন দলের জন্য শুভকামনা রইল।’
এদিকে ব্রিসবেন হিট দলে আরও দুই ক্রিকেটার টম অলসপ (হাঁটু) ও নাথান ম্যাকসুইনি (গোড়ালি) চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন।
বিগ ব্যাশে এটি ছিল আফ্রিদির প্রথম মৌসুম। বাবর আজম, মোহাম্মদ রিজওয়ান ও হারিস রউফসহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে খেললেও আফ্রিদি সুযোগ পান মাত্র চারটি ম্যাচে। পারফরম্যান্সও ছিল সাদামাটা— দুটি উইকেট, ইকোনমি রেট ১১.১৯।
ব্রিসবেন হিটের হয়ে অভিষেক ম্যাচেই বিতর্কে জড়ান আফ্রিদি। মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে ম্যাচে টিম সাইফার্ট ও অলিভার পিককে পরপর দুটি কোমর–সমান ফুলটস দেওয়ায় বিপজ্জনক বোলিংয়ের অভিযোগে তাকে আক্রমণ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
চোটটি পান ২৭ ডিসেম্বর অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে ম্যাচে। ব্রিসবেনের ১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ১৪তম ওভারে বল করার সময় হঠাৎ ডান হাঁটুতে ব্যথা পেয়ে খুঁড়িয়ে মাঠ ছাড়েন আফ্রিদি।
ব্রিসবেন হিটের প্রধান নির্বাহী টেরি স্ভেনসন বলেন, ‘মৌসুমটা আফ্রিদির প্রত্যাশামতো শেষ না হলেও তিনি ছিলেন একজন পূর্ণ পেশাদার। আমাদের তরুণ বোলাররা তার পরামর্শ থেকে অনেক কিছু শিখেছে, আর দলের পারফরম্যান্সেও তার অবদান ছিল।’
পাকিস্তান দলের বর্তমান অধিনায়ক আফ্রিদির ডান হাঁটুতে আগে থেকেই সমস্যার ইতিহাস রয়েছে। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কায় টেস্ট ম্যাচে ফিল্ডিং করতে গিয়ে একই হাঁটুতে চোট পান তিনি। পরে তা পেছনের ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট ইনজুরি হিসেবে ধরা পড়ে। সে কারণে সে বছর টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে মাঠের বাইরে ছিলেন। ফিট হয়ে ফিরে এলেও ফাইনালে আবার চোট পান এবং শেষ দিকে বোলিং করতে না পারায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পরই শুরু হতে যাচ্ছে পরবর্তী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তাই ঝুঁকি না নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে আফ্রিদিকে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিসিবি। এই ফরম্যাটে তিনি এখনও পাকিস্তানের অন্যতম প্রধান অস্ত্র। বিশ্বকাপের পরই শুরু হবে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যেখানে তিনি লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক। গত মৌসুমে তার নেতৃত্বেই শিরোপা জিতেছিল দলটি।
আইএইচএস/
এডমিন 













