১২:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
  • 2

দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। মঙ্গলবার ভারতের দুই সাঁতারুর সাথে রিলেতে তারা ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় নিয়ে সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

এশিয়ার প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল (english channel) পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্রজেন দাস। ১৯৬৮ থেকে ১৯৬১ সাল- এ সময়ের মধ্যে ব্রজেন দাস ৬ বার এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময় চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও আছে তার। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে মোশারফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে কোনো সাঁতারুর জন্যই স্বপ্ন। তবে সাঁতারের জন্য স্লট পাওয়া যায় না। কখনও এটা সাঁতারুদের জন্য হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল। বাংলাদেশি দুই সাঁতারু ৭ জুলাই যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদের। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় স্লট পাচ্ছিলেন না তারা।

চ্যানেলে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা থাকে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। তার ওপর আবহাওয়া খারাপ থাকলে তো আরো সমস্যা। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে শুকরিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু।

প্রসঙ্গতঃ ইংলিশ চ্যানেল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের একটি অংশ, যা যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকে পৃথক করেছে। এই চ্যানেলটি প্রায় ২১ মাইল (৩৩.৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ। তবে, স্রোত এবং অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে সাঁতারুদের প্রকৃত সাঁতারের দূরত্ব আরও বেশি হতে পারে।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ

৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু

আপডেট সময়ঃ ০৬:০১:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫

দীর্ঘ ৩৭ বছর পর ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিলেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু মাহফিজুর রহমান সাগর ও নাজমুল হক হিমেল। মঙ্গলবার ভারতের দুই সাঁতারুর সাথে রিলেতে তারা ১২ ঘণ্টা ১০ মিনিট সময় নিয়ে সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন।

এশিয়ার প্রথম সাঁতারু হিসেবে ইংলিশ চ্যানেল (english channel) পাড়ি দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্রজেন দাস। ১৯৬৮ থেকে ১৯৬১ সাল- এ সময়ের মধ্যে ব্রজেন দাস ৬ বার এই চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন। এর মধ্যে সবচেয়ে কম সময় চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ডও আছে তার। এরপর ১৯৬৫ সালে আবদুল মালেক ও সর্বশেষ ১৯৮৭ সালে মোশারফ হোসেন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছিলেন।

ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া যে কোনো সাঁতারুর জন্যই স্বপ্ন। তবে সাঁতারের জন্য স্লট পাওয়া যায় না। কখনও এটা সাঁতারুদের জন্য হয়ে পড়ে ব্যয়বহুল। বাংলাদেশি দুই সাঁতারু ৭ জুলাই যুক্তরাজ্য যাওয়ার পর অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে তাদের। আবহাওয়া প্রতিকূল থাকায় স্লট পাচ্ছিলেন না তারা।

চ্যানেলে জেলি ফিশ আছে। পানির তাপমাত্রা থাকে ১৫ থেকে ১৯ ডিগ্রি। তার ওপর আবহাওয়া খারাপ থাকলে তো আরো সমস্যা। শেষ পর্যন্ত সফলভাবে চ্যানেল পাড়ি দিয়ে শুকরিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশের দুই সাঁতারু।

প্রসঙ্গতঃ ইংলিশ চ্যানেল হলো আটলান্টিক মহাসাগরের একটি অংশ, যা যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সকে পৃথক করেছে। এই চ্যানেলটি প্রায় ২১ মাইল (৩৩.৭ কিলোমিটার) দীর্ঘ। তবে, স্রোত এবং অন্যান্য পরিস্থিতির কারণে সাঁতারুদের প্রকৃত সাঁতারের দূরত্ব আরও বেশি হতে পারে।

আরআই/আইএইচএস/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।