চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিএনপি নেতা কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার মনোনয়ন না পাওয়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় শত শত নেতাকর্মী খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এর আগে বিকেলে সরওয়ার আলমগীরের সমর্থনে আরেকটি মিছিল বের হয়।
আজিম উল্লাহ বাহারের অনুসারী নেতাকর্মীরা বলেন, গত ১৭ বছর আজিম উল্লাহ বাহার মাঠে ছিলেন। জুলুম-নির্যাতন, হামলা-মামলা নিয়ে দলীয় নেতাকর্মী ও মানুষের উপকার করেছেন। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করে হামলার শিকার হয়েছেন। দুঃসময়ে দলকে সংগঠিত করতে দিন-রাত কাজ করেছেন। এমন একজন নেতাকে মনোনয়ন না দিয়ে কোন কারিশমায় অন্যজন মনোনয়ন পেলেন, আমাদের জানা নেই। মনোনয়ন পরিবর্তন করে যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন না দেওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
এদিকে সারোয়ার আলমগীরের সমর্থকদের দাবি আজিম উল্লাহ বাহার ২০১৮ সাল থেকে বিএনপি করেন। তার দুই ভাই শিবিরের ত্রাস, যারা এখন বিএনপির রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। বিগত সময়ে বাহার আওয়ামী লীগের সঙ্গে মিলেমিশে রাজনীতি করেছে। যার কারণে তার বিরুদ্ধে একটি মামলাও নেই। তাছাড়া আওয়ামী লীগের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় তার স্ত্রীর চটপটির দোকানের নামে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর আহমদ বলেন, ‘সড়কে কিছুটা বিশৃঙ্খলা দেখে আমরা সেখানে গিয়ে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গত সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে ২৩৭টি আসনে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এতে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) মনোনয়ন পান বিএনপি জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সরওয়ার আলগীর। এই আসনে দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কর্নেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহারসহ পাঁচ জন।
এদিকে বৃহস্পতিবার বাবুনগর মাদ্রাসার বার্ষিক সভা ছিল। ফটিকছড়ি-খাগড়াছড়ি সড়ক দীর্ঘ সময় অবরোধ করে রাখায় মাদ্রাসার বার্ষিক সভায় আগতদের বেশ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।
সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিক্ষোভকারীরা ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বাজারে বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে। ফলে রাস্তায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
সাজু/নিএ
এডমিন 














