আল্লাহর
পরিচয়
জানার
প্রথম
ও
প্রধান
পদক্ষেপ
হল
নিজের
ভেতরের
জগৎকে
জানা।
মানুষের
বাহ্যিক
আচরণ
তার
ভেতরের
অবস্থারই
প্রতিফলন।
তাই
নিজের
চিন্তাভাবনা
ও
অনুভূতিগুলো
সচেতনভাবে
পর্যবেক্ষণ
করা
জরুরি।
চিন্তা
ও
অনুভূতির
পর্যবেক্ষণ:
দৈনন্দিন
জীবনে
আমাদের
মধ্যে
যে
আবেগ,
প্রতিক্রিয়া
ও
মানসিক
অবস্থা
তৈরি
হয়,
সেগুলোর
প্রতি
গভীরভাবে
খেয়াল
রাখতে
হবে।
কেন
কোনো
নির্দিষ্ট
ঘটনায়
রাগ
হচ্ছে
বা
খুশি
হচ্ছে,
তা
চিহ্নিত
করা
প্রয়োজন।
এই
সচেতন
পর্যবেক্ষণ
মানুষকে
নিজের
দুর্বলতা
ও
শক্তি
সম্পর্কে
ওয়াকিবহাল
করে
তোলে।
নিয়তের
শুদ্ধতা
যাচাই:
আমাদের
প্রতিটি
কর্মের
চালিকাশক্তি
কী?
তা
কি
শুধু
কোনো
জাগতিক
স্বার্থ,
লোক
দেখানো
মনোভাব,
নাকি
নিঃস্বার্থভাবে
আল্লাহর
সন্তুষ্টি?
নিয়ত
হল
কাজের
মূল
ভিত্তি।
নিয়ত
শুদ্ধ
না
হলে
কর্মের
কোনো
মূল্য
থাকে
না।
(সহিহ
বুখারি,
হাদিস:
১)
সতত
জবাবদিহিতা:
একজন
মুমিন
সর্বদা
নিজের
প্রতিটি
কাজ,
সিদ্ধান্ত
এবং
অনুভূতির
জন্য
নিজের
কাছে
জবাবদিহি
করে।
কেন
এই
সিদ্ধান্ত
নিলাম?
এর
ফলাফল
কী
হতে
পারে?
এভাবে
নিজেকে
প্রশ্ন
করার
মাধ্যমে
ভুল
সংশোধনের
সুযোগ
তৈরি
হয়।
এই
প্রক্রিয়াটি
মুসলিম
মনীষীদের
কাছে
‘মুহাসাবা’
নামে
পরিচিত।
(ইমাম
গাজালি,
ইহইয়াউ
উলুমিদ্দিন,
৪/২০৩,
দারুল
কুতুবিল
ইলমিয়্যাহ,
বৈরুত,
২০০৫)
ক্রমাগত
পরিবর্তন
ও
পরিমার্জন:
আত্মসমীক্ষার
মাধ্যমে
প্রাপ্ত
দুর্বলতাগুলোকে
ধীরে
ধীরে
উন্নত
করার
চেষ্টা
করতে
হবে।
খারাপ
অভ্যাসগুলো
বর্জন
করে
আত্মাকে
বিকশিত
করে—এমন
ভালো
অভ্যাস
দ্বারা
প্রতিস্থাপন
করাই
হলো
আত্ম-উন্নয়নের
পথ।
আল্লাহ
তায়ালাও
এই
নিরন্তর
প্রচেষ্টার
কথাই
বলেছেন।
(সুরা
রাদ,
আয়াত:
১১)
এডমিন 













