০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আকলের কেন এত মর্যাদা

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 16

অন্যভাবে
বলা
যায়,
শরিয়তের
বিধানগুলো
মানুষের
জন্যই
পাঠানো
হয়েছে।
আল্লাহ
মানুষকে
আকল
দিয়েছেন
যাতে
তারা
এই
বিধানগুলো
বুঝতে
পারে

পালন
করে।
যদি
শরিয়ত

আকলের
মধ্যে
সংঘাত
থাকত,
তবে
মানুষের
ওপর
ধর্মীয়
দায়িত্ব
(তাকলিফ)
চাপানো
সঠিক
হতো
না।
আকলের
বিরোধী
কিছু
মানতে
বাধ্য
করা
মানে,
মানুষের
ওপর
‘সাধ্যের
বাইরের
বোঝা’
চাপিয়ে
দেওয়া।

যদি
ধরে
নেওয়া
হয়
যে
ধর্ম

বুদ্ধির
মধ্যে
বিরোধ
সম্ভব,
তবে
সেই
ধর্ম
পালন
করা
মানুষের
পক্ষে
সম্ভব
হতো
না।
কারণ,
বুদ্ধি
যা
সত্য
বলে
বিশ্বাস
করতে
পারে
না,
মানুষ
তা
আমল
করবে
কীভাবে?
(শাতেবি,

আল–মুয়াফাকাত
,
৩/২৭)

কেউ
হয়তো
দাবি
করতে
পারে
যে,
‘আমার
আকল
শরিয়তের
কিছু
বিষয়
মেনে
নিতে
পারছে
না।’
কিন্তু
ব্যক্তিগতভাবে
কার
আকল
কী
বলল,
তার
গুরুত্ব
নেই।
আসল
কথা
হলো,
কুপ্রবৃত্তিমুক্ত
সুস্থ
আকল
তা
মানতে
পারছে
কি
না।
অজ্ঞতা,
জেদ,
অহংকার
বা
মনগড়া
খেয়ালখুশির
কারণে
কেউ
যদি
সত্য
অস্বীকার
করে,
তবে
তা
গ্রহণযোগ্য
নয়।
(আবদুল্লাহ
দারাজ,

আল–মুআফাকাতের
ব্যাখ্যা
,
৩/২৭)

এর
বড়
প্রমাণ
হলো,
যুগে
যুগে
যারা
নিজেদের
আবেগের
দাসত্ব
থেকে
মুক্ত
করতে
পেরেছে,
তারা
দলে
দলে
ইসলামে
এসেছে।
কারণ
তারা
দেখেছে,
ইসলামের
বিধানগুলো
একেবারে
যুক্তিসংগত।

একবার
এক
বেদুইন
সাহাবিকে
জিজ্ঞাসা
করা
হয়েছিল,
‘আপনি
কীভাবে
বুঝলেন
যে
হজরত
মুহাম্মদ
(সা.)
আল্লাহর
রাসুল?’

সাহাবি
উত্তর
দিয়েছিলেন,
‘তিনি
এমন
কোনো
কাজের
আদেশ
দেননি,
যা
শুনে
আমার
আকল
বলেছে,
ইশ্!
তিনি
যদি
এটা
নিষেধ
করতেন।
আবার
তিনি
এমন
কোনো
কাজ
নিষেধ
করেননি,
যা
শুনে
আমার
আকল
বলেছে,
ইশ্!
তিনি
যদি
এটা
বৈধ
রাখতেন।
(ইবনুল
কাইয়িম,
মিফতাহু
দারিস
সাআদাহ,
পৃ.
৫৭৯)


[email protected]



আবদুল্লাহিল
বাকি

:
আলেম

সফটওয়্যার
প্রকৌশলী

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

ধৈর্য-সহনশীলতার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে টেকসই করা সম্ভব: ঢাবি উপাচার্য

আকলের কেন এত মর্যাদা

আপডেট সময়ঃ ১২:০১:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫

অন্যভাবে
বলা
যায়,
শরিয়তের
বিধানগুলো
মানুষের
জন্যই
পাঠানো
হয়েছে।
আল্লাহ
মানুষকে
আকল
দিয়েছেন
যাতে
তারা
এই
বিধানগুলো
বুঝতে
পারে

পালন
করে।
যদি
শরিয়ত

আকলের
মধ্যে
সংঘাত
থাকত,
তবে
মানুষের
ওপর
ধর্মীয়
দায়িত্ব
(তাকলিফ)
চাপানো
সঠিক
হতো
না।
আকলের
বিরোধী
কিছু
মানতে
বাধ্য
করা
মানে,
মানুষের
ওপর
‘সাধ্যের
বাইরের
বোঝা’
চাপিয়ে
দেওয়া।

যদি
ধরে
নেওয়া
হয়
যে
ধর্ম

বুদ্ধির
মধ্যে
বিরোধ
সম্ভব,
তবে
সেই
ধর্ম
পালন
করা
মানুষের
পক্ষে
সম্ভব
হতো
না।
কারণ,
বুদ্ধি
যা
সত্য
বলে
বিশ্বাস
করতে
পারে
না,
মানুষ
তা
আমল
করবে
কীভাবে?
(শাতেবি,

আল–মুয়াফাকাত
,
৩/২৭)

কেউ
হয়তো
দাবি
করতে
পারে
যে,
‘আমার
আকল
শরিয়তের
কিছু
বিষয়
মেনে
নিতে
পারছে
না।’
কিন্তু
ব্যক্তিগতভাবে
কার
আকল
কী
বলল,
তার
গুরুত্ব
নেই।
আসল
কথা
হলো,
কুপ্রবৃত্তিমুক্ত
সুস্থ
আকল
তা
মানতে
পারছে
কি
না।
অজ্ঞতা,
জেদ,
অহংকার
বা
মনগড়া
খেয়ালখুশির
কারণে
কেউ
যদি
সত্য
অস্বীকার
করে,
তবে
তা
গ্রহণযোগ্য
নয়।
(আবদুল্লাহ
দারাজ,

আল–মুআফাকাতের
ব্যাখ্যা
,
৩/২৭)

এর
বড়
প্রমাণ
হলো,
যুগে
যুগে
যারা
নিজেদের
আবেগের
দাসত্ব
থেকে
মুক্ত
করতে
পেরেছে,
তারা
দলে
দলে
ইসলামে
এসেছে।
কারণ
তারা
দেখেছে,
ইসলামের
বিধানগুলো
একেবারে
যুক্তিসংগত।

একবার
এক
বেদুইন
সাহাবিকে
জিজ্ঞাসা
করা
হয়েছিল,
‘আপনি
কীভাবে
বুঝলেন
যে
হজরত
মুহাম্মদ
(সা.)
আল্লাহর
রাসুল?’

সাহাবি
উত্তর
দিয়েছিলেন,
‘তিনি
এমন
কোনো
কাজের
আদেশ
দেননি,
যা
শুনে
আমার
আকল
বলেছে,
ইশ্!
তিনি
যদি
এটা
নিষেধ
করতেন।
আবার
তিনি
এমন
কোনো
কাজ
নিষেধ
করেননি,
যা
শুনে
আমার
আকল
বলেছে,
ইশ্!
তিনি
যদি
এটা
বৈধ
রাখতেন।
(ইবনুল
কাইয়িম,
মিফতাহু
দারিস
সাআদাহ,
পৃ.
৫৭৯)


[email protected]



আবদুল্লাহিল
বাকি

:
আলেম

সফটওয়্যার
প্রকৌশলী