১১:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিজয়ের অঙ্গীকার হোক বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 9

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এ দিনে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক—এই কামনা করেন।

তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতিও সশ্রদ্ধ সালাম জানান।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর জাতির গৌরব, অহংকার ও আত্মত্যাগের এক মহাকাব্যিক দিন।

তিনি বলেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা বারবার ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর দুঃশাসনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রসহ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, টানা একের পর এক প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা অবিসংবাদিত নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে এক নিষ্ঠুরতম একনায়কের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবি।

বাণীর শেষে তারেক রহমান মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে দেশবাসীর প্রতি ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকবো।

কেএইচ/এমএমকে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

বিজয়ের অঙ্গীকার হোক বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষের পাশে দাঁড়ানো

আপডেট সময়ঃ ১২:০৫:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, এই মুহূর্তে দেশের প্রধান প্রয়োজন নির্বিঘ্ন, অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে জনকল্যাণমুখী ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠনের পরিবেশ নিশ্চিত করা। একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা সব ধরনের বিভাজন ও হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবো।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর মাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

বাণীতে তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিজয় অর্জন করে। এ দিনে তিনি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং তাদের জীবন সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধিতে ভরে উঠুক—এই কামনা করেন।

তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে স্বাধীনতার জন্য যেসব মা-বোন সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের প্রতিও সশ্রদ্ধ সালাম জানান।

তারেক রহমান বলেন, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ডাকে শুরু হওয়া মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর পাক হানাদার বাহিনী পরাজিত হয়। দেশের অদম্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে এই বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। তাই ১৬ ডিসেম্বর জাতির গৌরব, অহংকার ও আত্মত্যাগের এক মহাকাব্যিক দিন।

তিনি বলেন, শোষণমুক্ত ও সামাজিক ন্যায়বিচারভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ার যে প্রত্যয় নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তা বারবার ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর দুঃশাসনে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, সংবাদপত্রসহ বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা দমন করা হয়েছে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অভিযোগ করেন, টানা একের পর এক প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে জনমতকে অবজ্ঞা করা হয়েছে। বিরোধী মত দমনে গুম, খুন ও মিথ্যা মামলার মাধ্যমে জনগণের ওপর ভয়াবহ নিপীড়ন চালানো হয়েছে। গণতন্ত্রের জন্য আজীবন সংগ্রাম করা অবিসংবাদিত নেত্রীকে অন্যায়ভাবে কারাবন্দি করে রাখা হয়েছিল বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ‘২৪-এর জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক আন্দোলনের মাধ্যমে এক নিষ্ঠুরতম একনায়কের পতন ঘটে। এর ফলে দেশে আবারও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনের প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই সময়ের দাবি।

বাণীর শেষে তারেক রহমান মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত সব কর্মসূচির সাফল্য কামনা করে দেশবাসীর প্রতি ঐক্য, সহনশীলতা ও মানবিকতার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশের জন্য এই বিজয়ের দিনে আমাদের অঙ্গীকার হোক—আমরা বিভাজন ভুলে, হিংসা ভুলে মানুষ হিসেবে মানুষের পাশে থাকবো।

কেএইচ/এমএমকে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।