১০:০৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা নারী আসামির মরদেহ উদ্ধার

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 16

কুমিল্লার হোমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নারী আসামি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের একটি কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ববিতা নামে ওই নারী হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।

ওসি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ববিতা বুধবার সকালে তার সতিনের ১১ বছরের ছেলে সায়মনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। শিশুটিকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ববিতাকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, ববিতাকে রাতে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সেখানে তার সঙ্গে আরেক নারী আসামি ও নারী গ্রাম পুলিশ ছিল। ভোরে তারা স্টাফরুমে গেলে ববিতা আত্মহত্যা করেন। সকালে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসার পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুমেকে পাঠানো হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা নারী আসামির মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:৩০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

কুমিল্লার হোমনা থানায় পুলিশ হেফাজতে থাকা এক নারী আসামি আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) ভোরে থানার নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কের একটি কক্ষে ওড়না পেঁচিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ববিতা নামে ওই নারী হোমনা উপজেলার ঘনিয়ারচর গ্রামের খলিল মিয়ার স্ত্রী।

ওসি মোরশেদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ববিতা বুধবার সকালে তার সতিনের ১১ বছরের ছেলে সায়মনের পেটে ছুরিকাঘাত করেন। শিশুটিকে প্রথমে হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয় লোকজন ববিতাকে আটক করে গাছে বেঁধে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ বিকেল ৫টার দিকে তাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে আহত সায়মনের চাচা স্বপন মিয়া বাদী হয়ে রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি বলেন, ববিতাকে রাতে নারী ও শিশু সহায়তা ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সেখানে তার সঙ্গে আরেক নারী আসামি ও নারী গ্রাম পুলিশ ছিল। ভোরে তারা স্টাফরুমে গেলে ববিতা আত্মহত্যা করেন। সকালে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে আসার পর মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুমেকে পাঠানো হবে বলে পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান।

জাহিদ পাটোয়ারী/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।