০২:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফেসবুকে আয় কমছে কেন?

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 14

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক শুধু বিনোদন বা অবসর কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং আয়ের অনেক বড় মাধ্যম। তবে আগে মতো এখন ফেসবুক থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় না। অনেক ক্রিয়েটরের মতে ফেসবুকে আয় কমেছে, বিশেষ করে রিলস ও ভিডিও মনিটাইজেশনের ক্ষেত্রে।

কারণ মেটা এখন কনটেন্ট মনিটাইজেশনের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে এবং স্প্যামি কনটেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে, ফলে পুরোনো ইন-স্ট্রিম অ্যাডস ও বোনাস প্রোগ্রামগুলো নতুন ‘কন্টেন্ট মনিটাইজেশন’ ব্যবস্থার অধীনে আসছে, যেখানে আয় কমে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।

অনেক ক্রিয়েটর অক্টোবর ২০২১ থেকে আয় কমে যাওয়ার কথা বলছেন, যেখানে প্রতিদিনের আয় ২০ ডলার থেকে ২৫ ডলারে নেমে এসেছে। অনেকে বলেছেন, আগে ভালো আয় হলেও এখন কিছুই থাকছে না, এবং মেটা থেকে তেমন সাহায্যও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক থেকে আয় কমে যাওয়ার কারণ-

নতুন মনিটাইজেশন পদ্ধতি
ফেসবুক এখন সব ভিডিওকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য করছে এবং ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিলস বোনাস ইত্যাদি আলাদা পদ্ধতিগুলো ‘কন্টেন্ট মনিটাইজেশন’ নামক একটি একক সিস্টেমের আওতায় নিয়ে এসেছে, যা আয় কমিয়ে দিয়েছে।

বোনাস ফান্ডের সমাপ্তি
রিলস মনিটাইজেশনের জন্য যে ১ বিলিয়ন ডলার বোনাস ফান্ড ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আয়ের উৎস কমে গেছে, এখন মূলত বিজ্ঞাপনের শেয়ারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

স্প্যাম ও কপিরাইট
অন্যের কনটেন্ট কপি করে বা স্প্যামি ভিডিও আপলোড করলে মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং কনটেন্টের রিচও কমানো হচ্ছে, যা আয়ে প্রভাব ফেলছে।

ব্যবহারকারীর আচরণ পরিবর্তন
প্রতিদিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় এবং নতুন প্ল্যাটফর্মের (যেমন টিকটক) সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিক বিজ্ঞাপনের বাজারেও প্রভাব পড়ছে।

তাহলে কী করবেন?
১. অরিজিনাল ও উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করা, যা মেটার নতুন নিয়ম মেনে চলে।
২. অন্যের কনটেন্ট কপি করা থেকে বিরত থাকা।
৩. যদি আয় কমে যায়, তাহলে সমস্যাটি নিয়ে সাপোর্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

আরও পড়ুন
ফেসবুকের রিকমেন্ডেশন সাসপেন্ড হওয়ার কারণ
মেটাকে সরকারের চিঠি, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ

সূত্র: ফেসবুক

কেএসকে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

অস্ত্রধারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না

ফেসবুকে আয় কমছে কেন?

আপডেট সময়ঃ ১২:০৩:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৫

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফেসবুক শুধু বিনোদন বা অবসর কাটানোর মাধ্যম নয়, বরং আয়ের অনেক বড় মাধ্যম। তবে আগে মতো এখন ফেসবুক থেকে লাখ লাখ টাকা আয় করা যায় না। অনেক ক্রিয়েটরের মতে ফেসবুকে আয় কমেছে, বিশেষ করে রিলস ও ভিডিও মনিটাইজেশনের ক্ষেত্রে।

কারণ মেটা এখন কনটেন্ট মনিটাইজেশনের পদ্ধতি পরিবর্তন করেছে এবং স্প্যামি কনটেন্টের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে, ফলে পুরোনো ইন-স্ট্রিম অ্যাডস ও বোনাস প্রোগ্রামগুলো নতুন ‘কন্টেন্ট মনিটাইজেশন’ ব্যবস্থার অধীনে আসছে, যেখানে আয় কমে গেছে বলে অনেকেই অভিযোগ করছেন।

অনেক ক্রিয়েটর অক্টোবর ২০২১ থেকে আয় কমে যাওয়ার কথা বলছেন, যেখানে প্রতিদিনের আয় ২০ ডলার থেকে ২৫ ডলারে নেমে এসেছে। অনেকে বলেছেন, আগে ভালো আয় হলেও এখন কিছুই থাকছে না, এবং মেটা থেকে তেমন সাহায্যও পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন।

আসুন জেনে নেওয়া যাক ফেসবুক থেকে আয় কমে যাওয়ার কারণ-

নতুন মনিটাইজেশন পদ্ধতি
ফেসবুক এখন সব ভিডিওকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ‘রিলস’ হিসেবে গণ্য করছে এবং ইন-স্ট্রিম অ্যাডস, রিলস বোনাস ইত্যাদি আলাদা পদ্ধতিগুলো ‘কন্টেন্ট মনিটাইজেশন’ নামক একটি একক সিস্টেমের আওতায় নিয়ে এসেছে, যা আয় কমিয়ে দিয়েছে।

বোনাস ফান্ডের সমাপ্তি
রিলস মনিটাইজেশনের জন্য যে ১ বিলিয়ন ডলার বোনাস ফান্ড ছিল, তা প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ায় আয়ের উৎস কমে গেছে, এখন মূলত বিজ্ঞাপনের শেয়ারের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে।

স্প্যাম ও কপিরাইট
অন্যের কনটেন্ট কপি করে বা স্প্যামি ভিডিও আপলোড করলে মনিটাইজেশন প্রোগ্রাম থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে এবং কনটেন্টের রিচও কমানো হচ্ছে, যা আয়ে প্রভাব ফেলছে।

ব্যবহারকারীর আচরণ পরিবর্তন
প্রতিদিন ব্যবহারকারীর সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় এবং নতুন প্ল্যাটফর্মের (যেমন টিকটক) সঙ্গে প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ায় সামগ্রিক বিজ্ঞাপনের বাজারেও প্রভাব পড়ছে।

তাহলে কী করবেন?
১. অরিজিনাল ও উচ্চমানের কনটেন্ট তৈরি করা, যা মেটার নতুন নিয়ম মেনে চলে।
২. অন্যের কনটেন্ট কপি করা থেকে বিরত থাকা।
৩. যদি আয় কমে যায়, তাহলে সমস্যাটি নিয়ে সাপোর্ট টিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা এবং সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

আরও পড়ুন
ফেসবুকের রিকমেন্ডেশন সাসপেন্ড হওয়ার কারণ
মেটাকে সরকারের চিঠি, উসকানিমূলক কনটেন্ট সরানোর অনুরোধ

সূত্র: ফেসবুক

কেএসকে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।