০১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওদের থেকে দিল্লি কেড়ে নেবো: মমতা

  • এডমিন
  • আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫
  • 15

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে বিজেপির হাত থেকে দিল্লি কেড়ে নেবো হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে জিরো (শূন্য) করে দেবো। বাংলায় জিতলে দিল্লি কেড়ে নেবো। ওদের সরকার পড়ে যাবে।

গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ লেবেল কর্মীদের নিয়ে দলীয় সভা থেকে এমন মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

বিজেপি ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, এসআইআর করতে গিয়ে কতজন রোহিঙ্গাকে খুঁজে পেলেন? তাই বলবো, সংখ্যালঘু, আদিবাসী,তফশিলি, রাজবংশী, মতুয়াসহ সবাই সংঘবদ্ধ হোন। জোট বাঁধুন, লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। বিজেপিকে ভোটের বাক্সে জবাব দিতে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নামুন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ যাবে সেটা বিজেপির পার্টি অফিসে ঠিক করা হচ্ছে। অপদার্থ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসআইআরের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং দেশকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।

মমতা ব্যানার্জী বলেন, দেশকে বিনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ৪৬ জনের প্রাণ গেছে। এর দায় কমিশনের। বিজেপির কথায় চলেই পরিকল্পনাহীন এসআইআর। খসড়া তালিকায় ভোটারদের বাংলা ও ইংরেজি নামের বানানে অজস্র ভুল রয়েছে। পদবি পরিবর্তন কিংবা কোনো নারীর বিয়ে হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় নাম বাদের ঘটনাও সামনে এসেছে। এছাড়াও ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামটিও বাদ দিয়ে দিয়েছে এরা।

এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, যতই করুন এসআইআর, বাংলা হবে না আপনার। বিধানসভার নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে জিরো (শূন্য) করে দেবো। বাংলায় জিতলে দিল্লি কেড়ে নেবো। ওদের সরকার পড়ে যাবে। ২০২৬ সালে হবে বিজেপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিসর্জন। আমার এতদিনের সংগ্রামকে যদি আপনারা সম্মান জানান, তাহলে লড়তে হবে এবং জিততে হবে। বিজেপিকে বিদায় দিতে হবে।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।

ট্যাগঃ
জনপ্রিয় খবর

অস্ত্রধারীদের বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না

ওদের থেকে দিল্লি কেড়ে নেবো: মমতা

আপডেট সময়ঃ ০৬:০৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে জিতলে বিজেপির হাত থেকে দিল্লি কেড়ে নেবো হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি বলেছেন, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে জিরো (শূন্য) করে দেবো। বাংলায় জিতলে দিল্লি কেড়ে নেবো। ওদের সরকার পড়ে যাবে।

গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর) কলকাতার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ লেবেল কর্মীদের নিয়ে দলীয় সভা থেকে এমন মন্তব্য করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

বিজেপি ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা ব্যানার্জী বলেন, এসআইআর করতে গিয়ে কতজন রোহিঙ্গাকে খুঁজে পেলেন? তাই বলবো, সংখ্যালঘু, আদিবাসী,তফশিলি, রাজবংশী, মতুয়াসহ সবাই সংঘবদ্ধ হোন। জোট বাঁধুন, লড়াইয়ের জন্য তৈরি হোন। বিজেপিকে ভোটের বাক্সে জবাব দিতে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে লড়াইয়ে নামুন।

তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা থেকে কাদের নাম বাদ যাবে সেটা বিজেপির পার্টি অফিসে ঠিক করা হচ্ছে। অপদার্থ কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসআইআরের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। প্রধানমন্ত্রী এবং দেশকেও নিয়ন্ত্রণ করছেন তিনি।

মমতা ব্যানার্জী বলেন, দেশকে বিনাশের দিকে নিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ৪৬ জনের প্রাণ গেছে। এর দায় কমিশনের। বিজেপির কথায় চলেই পরিকল্পনাহীন এসআইআর। খসড়া তালিকায় ভোটারদের বাংলা ও ইংরেজি নামের বানানে অজস্র ভুল রয়েছে। পদবি পরিবর্তন কিংবা কোনো নারীর বিয়ে হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় নাম বাদের ঘটনাও সামনে এসেছে। এছাড়াও ১০০ দিনের প্রকল্প থেকে মহাত্মা গান্ধীর নামটিও বাদ দিয়ে দিয়েছে এরা।

এরপরেই তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, যতই করুন এসআইআর, বাংলা হবে না আপনার। বিধানসভার নির্বাচনে বাংলায় বিজেপিকে জিরো (শূন্য) করে দেবো। বাংলায় জিতলে দিল্লি কেড়ে নেবো। ওদের সরকার পড়ে যাবে। ২০২৬ সালে হবে বিজেপি ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিসর্জন। আমার এতদিনের সংগ্রামকে যদি আপনারা সম্মান জানান, তাহলে লড়তে হবে এবং জিততে হবে। বিজেপিকে বিদায় দিতে হবে।

ডিডি/কেএএ/

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।